পাণ্ডবেশ্বরের ৪৭ নম্বর বুথে এমন এক ভোটার জালিয়াতির কাণ্ড ধরা পড়েছে, যা গোটা জেলার মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে। যেন বাস্তব নয়—হরেক নামে একই মহিলার ৪৪টি আলাদা পরিচয়! নির্বাচন কমিশনের QR কোড স্ক্যান করতেই ফাঁস হল চমকে দেওয়া তথ্য।
যার পরিচয় ব্যবহার করে এই দুঃসাহসিক ভোটার জালিয়াতি—তিনি মায়ারানি গোস্বামী, এক অসহায় বিধবা। বাড়িতে রান্নার কাজ করে যাঁর কোনোক্রমে সংসার চলে। অথচ তাঁর অজান্তেই তাঁর নাম কখনো মায়ারানি মণ্ডল, কখনো মায়ারানি রায়, কখনো ঘোষ—এভাবেই ৪৪টি আলাদা বিধানসভা এলাকায়!
বয়সও বদলে দেওয়া হয়েছে!
কোথাও তাঁর বয়স ৩০, কোথাও ৪৫, কোথাও আবার ৫০! যা দেখে কর্মকর্তারাও হতবাক।
বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ—এটি একটি সুসংগঠিত চক্র
নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কারচুপি সাধারণ ভুলে হয় না। একটি QR স্ক্যানে ৪৪ জন ‘মায়ারানি’ মিললে তা সংগঠিত জালিয়াতি চক্রের ইঙ্গিত বহন করে। তারা মনে করছেন, এই চক্র বহুদিন ধরে সক্রিয়।
স্থানীয় মানুষের প্রশ্ন—এতদিন কেউ জানল না কীভাবে?
বহু মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, “একই নাম এত জায়গায় যুক্ত হচ্ছে—তা কি সত্যিই কমিশনের চোখে পড়েনি?”
রাজনৈতিক তরজা চরমে
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি,
“SIR চেক না হলে পুরো ব্যাপারটা চাপা থাকত। এর পেছনে বড় মাপের একটি চক্র কাজ করছে। অবিলম্বে CBI বা বড় তদন্ত চাই।”
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ বললেন,
“এটি বিজেপির সাজানো চক্রান্ত। নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক চাপের সামনে নতি স্বীকার করছে।”
মায়ারানির কান্না—“আমি তো কিছুই জানতাম না”
ক্যামেরার সামনে চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি বলেন,
“আমি তো শুধু অন্যের বাড়িতে রান্না করি। কীভাবে এত নাম হল বুঝতেই পারিনি।”
স্থানীয়দের দাবি—দোষীকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিন
এলাকায় এখন একটাই আলোচনা—কারা এই চক্রের মাথা? কবে ধরা পড়বে তারা?












