কুলটিতে ‘বিজয় সম্মেলন’-এ মুখ্যমন্ত্রীর “সৌগন্ধ” নিলেন জেলা সভাপতি, যত ব্যঙ্গ তত জল্পনা!

single balaji

কুলটি, পশ্চিম বর্ধমান:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চলছে ‘বিজয় সম্মেলন’ কর্মসূচি। এই ধারাবাহিকতায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রতিটি ব্লক ও ওয়ার্ডে আয়োজিত হচ্ছে এই সম্মেলন। গতকাল সন্ধ্যায় কুলটির নিআমতপুর ইস্কো বাইপাস ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল বিজয় সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা চেয়ারম্যান হরিরাম সিংহ, রাজ্য কমিটির নেতা উজ্জ্বল চ্যাটার্জি, সহ বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী।
ময়দানে ছিল হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থকের ঢল—নাড়িয়ে দিল কুলটির রাজনীতি।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন—

“দিদির সৌগন্ধ নিচ্ছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। তৃণমূলের পতাকা আবার প্রতিটি ওয়ার্ডে উড়বে।”

তিনি আরও বলেন, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, কারণ “দিদির ভাবনা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য।”

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এই বিজয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

কিন্তু চক্রবর্তীর “মুখ্যমন্ত্রীর সৌগন্ধ” নেওয়ার বক্তব্য ঘিরে রাত থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই শপথের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ আসানসোল থেকে প্রতিক্রিয়া জানান বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি

তিনি তির্যক ভঙ্গিতে বলেন—

“এখন রাজনীতি নীতিতে নয়, শপথে চলছে। তৃণমূল বুঝে গেছে, মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করছে না, তাই নাটক বাড়ছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই “দিদির সৌগন্ধ” মন্তব্য শুধু আবেগ নয়, তা আসলে তৃণমূলের সংগঠনগত লড়াইয়ের নতুন প্রতীক। অন্যদিকে, বিজেপি এটাকে রাজনৈতিক নাটক বলে কটাক্ষ করছে। ফলে, কুলটির বিজয় সম্মেলন ঘিরে এখন রাজ্য রাজনীতিতে নতুন তরঙ্গ।

ghanty

Leave a comment