দুর্গাপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর বার্তার পর পুলিশি অভিযান জোরদার হয়েছে। লোহার চোরাচালান মামলায় দুর্গাপুর ব্লক ৩-র তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রিন্টু পান্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই অভিযোগে দুর্গাপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালতে পেশ ও রিমান্ডের আবেদন
গ্রেপ্তার হওয়া দুই তৃণমূল নেতাকে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়, যেখানে পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন জানায়। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
গ্রেপ্তার নেতাদের প্রতিক্রিয়া
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অরবিন্দ নন্দি ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তিনি শুধু জানেন, কিছু একটা হয়েছে। অপরদিকে, রিন্টু পান্জার দাবি, এই পদক্ষেপ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের ফল। তিনি আরও বলেন, সংকটের এই সময়ে দলীয় নেতৃত্ব তার পাশে রয়েছে।
মাফিয়ার সঙ্গে নেতাদের যোগসূত্র?
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল নেতাদের ভূমি, কয়লা ও লোহার মাফিয়াদের সঙ্গে গভীর যোগাযোগের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শোনা যাচ্ছে, মাফিয়ারাই নির্ধারণ করে কে কী পাবে। এখন প্রশ্ন উঠছে, বড় নেতাদের বিরুদ্ধেও কি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে?