আসানসোল: আসানসোল পৌরনিগমের দোকান নিয়ে বৃহস্পতিবার হাটন রোড মোড়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তৃণমূল নেতা রাজু আহলুওয়ালিয়া-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দোকান বরাদ্দের পর মালিককে হুমকি দিয়ে দোকানে তালা মেরে দেন।
দোকান বরাদ্দপ্রাপ্ত চন্দ্রা রায়ের ভাই নিত্যানন্দ রায় জানান, এই দোকান তার বোনকে পৌরনিগমের মাধ্যমে আইনত বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল নেতা দাদাগিরি দেখিয়ে দোকান দখলের চেষ্টা করেন।
বিজেপির তীব্র আক্রমণ:
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
“তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপের রাজনীতি এবং সিন্ডিকেট রাজ এখন সাধারণ মানুষের জায়গা এবং সরকারি সম্পত্তি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।”
অগ্নিমিত্রা আরও অভিযোগ করেন, “আসানসোল থেকে গোটা বাংলায় তৃণমূলের দ্বিচারিতা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।”
তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া:
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা রাজু আহলুওয়ালিয়া সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, এই জায়গাটি আগে পিডব্লিউডি-র অধীনে ছিল এবং এখানে একটি নার্সারি চলত। পরে এটি পৌরনিগমের অধীনে আসে।
তিনি আরও বলেন, “পুরনো বোর্ডের সময় এখানে যে টেন্ডার হয়েছিল, তা কেন তদন্ত করা হয়নি?” পাশাপাশি, তিনি পৌরনিগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
মেয়রের বক্তব্য:
আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা তার অগ্রাধিকার। তিনি বলেন,
“যদি কেউ বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, যারা আইন হাতে তুলে নেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”
বড় প্রশ্নের মুখে পৌরনিগমের কাজের ধারা:
এই বিতর্ক শুধু পৌরনিগমের স্বচ্ছতা এবং কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না, বরং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘর্ষকেও সামনে এনেছে।
স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ:
এই ঘটনা আসানসোলের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, পৌরনিগমের দোকান বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং সিন্ডিকেট রাজের আধিপত্য কতটা গ্রহণযোগ্য।