দুর্গাপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তাক্ত সংঘর্ষ! জখম দুই কর্মী

single balaji

দুর্গাপুর । শিল্পনগরীর বুকে আবারও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষবাষ্প! বেসরকারি কারখানায় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের ঠান্ডা লড়াই এবার ফেটে বেরোল রক্তাক্ত সংঘর্ষে। শনিবার রাতে এবিএল টাউনশিপ এলাকায় তৃণমূলের দুই প্রাক্তন কাউন্সিলার—দীপঙ্কর লাহা এবং দীপেন মাজি–র অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখম দুই তৃণমূল কর্মী বর্তমানে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মী নেওয়া হবে—এই খবর রটে যাওয়ার পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার দীপেন মাজির নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী লাঠি-সোটা নিয়ে এবিএল টাউনশিপ পার্টি অফিসে চড়াও হয় এবং মারধর শুরু করে।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে জখম তৃণমূল কর্মী রঞ্জিত পণ্ডিত দাবি করেন,
“আমাদের মারতে ওরা পরিকল্পনা করে এসেছিল। পার্টি অফিসে ঢুকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন কাউন্সিলার দীপেন মাজি বলেন,
“আমাদের ওপর মিথ্যে অপবাদ চাপানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার বা আমার দলের কোনো কর্মীর সম্পর্ক নেই।”

দলের ভেতরের অশান্তি মানতে নারাজ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটি সদস্য মানস অধিকারী। তাঁর বক্তব্য,
“এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্ত।”

এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের অন্তর্কলহই দেখাচ্ছে—তৃণমূল ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”

ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে। এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের মুখে এই রক্তাক্ত অন্তর্কলহ তৃণমূলের জন্য বড় দুর্ভাবনার কারণ হতে পারে।

ghanty

Leave a comment