আসানসোল জেলা কংগ্রেস দফতরে এক জরুরি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইঁতুন্ডি আসানসোল পুরনিগম ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি করেন।
🔴 “তৃণমূল কাউন্সিলররা কমিউনিটি হল দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা করছেন” — পুইঁতুন্ডি
তিনি দাবি করেন, আসানসোল পুরনিগমের অধীন চলা কমিউনিটি সেন্টারগুলি মূলত তৈরি হয়েছিল ড. মনমোহন সিং–এর পরিকল্পনায়, যাতে সাধারণ মানুষ অল্প খরচে বিয়ে, অনুষ্ঠান ও উৎসব আয়োজন করতে পারেন।
কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত।
পোইটুন্ডির অভিযোগ—
“তৃণমূল কাউন্সিলররা ওই কমিউনিটি হল নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়ম ভেঙে ব্যক্তিগত আয়ের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন। এটা তৃণমূলের পারিবারিক ব্যবসার মতো চলছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত।”
তিনি আরও বলেন যে বহু অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও সমাধান হয়নি।
🔴 “আসানসোলের সাংসদ কোথায়? এলাকার মানুষ তাঁকে দেখেই না!”
প্রেস কনফারেন্সে প্রসেনজিৎ পুইঁতুন্ডি আসানসোলের সাংসদকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
তার কথায়—
“সাংসদকে আসানসোলে দেখা যায় না। কখনও এলে বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি আবার ফিরে যান। জনতার সঙ্গে যোগাযোগই নেই।”
তিনি জানান, সাংসদের এই অনুপস্থিতির জন্য আসানসোলের সাধারণ মানুষ নিজেদের অসহায় অনুভব করছেন, কারণ তাঁদের প্রতিনিধি এলাকা ছেড়ে বহুদিন ধরে দূরে।
🔴 কংগ্রেসের বড় পদক্ষেপ—রাজ্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ
পুইঁতুন্ডি স্পষ্ট করে বলেন—
“পুরনিগমের এই দুর্নীতি, কাউন্সিলরদের এই অবৈধ দখলদারি এবং সাংসদের অনুপস্থিতি—সব মিলিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের কাছে বিশদ অভিযোগ দায়ের করব।”
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে প্রয়োজনে আইনি পথেও হাঁটবে কংগ্রেস।
🔴 স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে
কংগ্রেস নেতার এই বিস্ফোরক অভিযোগে আসানসোলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে—আগামী পঞ্চায়েত, পুরনির্বাচন এবং ২০২৬ বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে এই ইস্যু বড় বিতর্কে পরিণত হতে পারে।












