চাকরির আশ্বাসে আশায় বুক বেঁধেছিল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার স্থানীয় যুবসমাজ। কিন্তু বেসরকারি কারখানায় টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের নিয়োগ ও স্থানীয়দের বঞ্চনার অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। এবার তৃণমূল কর্মীরাই তৃণমূল শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধেই ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভে রাস্তায়!
সরাসরি ‘চোর চোর’ স্লোগানে কেঁপে উঠলো শেখ রমজানের বাড়ি। তিনি ওই কারখানার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি।
🔥 কী ঘটেছে?
- ১০ দিন ধরে সগড়ভাঙার কারখানার গেটের সামনে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বসেছিলেন টেন্ট করে আন্দোলনে, চাকরির দাবিতে।
- দাবি ছিল, স্থানীয়দের বদলে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে ঢোকানো হচ্ছে বহিরাগত শ্রমিকদের।
- মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোকওভেন থানার পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে জানিয়ে দেয়, ২০০ মিটারের মধ্যে জমায়েত নিষিদ্ধ।
- এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা, মিছিল নিয়ে সোজা হাজির হন শেখ রমজানের বাড়ির সামনে।
- স্লোগানে মুখর, “চোর চোর”, “বিক্রি হয়ে গেছে নেতা”, “আমরা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার”।
🧑⚖️ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ—
“আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। দলের লোক আমাদের চাকরির আশ্বাস দিয়েছিল। অথচ টাকার বিনিময়ে বাইরের লোক ঢুকছে। তাহলে দল করার মানে কি প্রতারণা সহ্য করা?”
তারা জানিয়ে দিয়েছেন, পায়ে হেঁটে নবান্ন যাবেন সুবিচারের আশায়।
🎭 নেতার পাল্টা দাবি
শেখ রমজান জানিয়েছেন,
“আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি খুন করার হুমকিও পাচ্ছি।”
তবে তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ।
💰 আগে থেকেই ছিল অভিযোগ
মাত্র কয়েকদিন আগেই তার ভাই শেখ গেন্ডার বিরুদ্ধে চাকরির নামে এক দৃষ্টিহীন মহিলার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ইস্যু চাপা না পড়তেই ফের বাড়ল বিতর্ক।
বিরোধীদের দাবি:
“দলের ভিতরেই ফাটল। ঘাসফুল শিবিরে অস্বস্তি শুধু নয়, মানুষের বিশ্বাস হারানোর পথে।”