সিবিআই (CBI) শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে। এই ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ৫৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কলকাতা হাইকোর্ট গত সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও চারজন কর্মকর্তার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন, তার সহকারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধারের পরে।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে আরও দুই ব্যক্তি, আয়ন শীল এবং সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ছিলেন। সিবিআই ও ইডি দাবি করেছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভুয়া সিম কার্ড ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন।
এদিকে, ইডি জানিয়েছে, একটি কোম্পানির অফিস থেকে প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার পরিবারের সম্পত্তি বলে দাবি করা হয়েছে। একইসাথে, প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মণিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডির দাবি, তিনি প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা নিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এই শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গত দুই বছর ধরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীরা কলকাতায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছেন।
এই মামলাটি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের আদালত নয়, সুপ্রিম কোর্টেও বিচারাধীন।