আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রচারাভিযান যেখানে সাধারণ মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে, সেখানে তৃণমূল পার্টির অফিস নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুখুরিয়া এলাকার বাসিন্দারা তৃণমূলের নতুন অফিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। তালপুখুরিয়া বাই লাইন এলাকার বাসিন্দারা এই অফিসকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।
মাস পিটিশন দিয়ে শুরু হলো প্রতিবাদ
তালপুখুরিয়ার বাসিন্দারা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে তৃণমূল পার্টির বিরুদ্ধে একটি মাস পিটিশন দাখিল করে এই অফিসটিকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তৃণমূলের এই অফিসটি সরকারি জমিতে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির আক্রমণ
এই বিষয়ে, বিজেপির প্রাক্তন কাউন্সিলর আশা শর্মা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, “একদিকে সাধারণ মানুষকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তৃণমূল নিজেরাই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে অফিস তৈরি করছে।” তিনি দাবি করেন, যেভাবে সাধারণ মানুষের দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে, তেমনই তৃণমূলের এই অফিসটিও সরানো উচিত।
রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা
মাস পিটিশন দাখিলের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের পাশাপাশি বিরোধী দলও জোরেশোরে এই ইস্যু তুলে ধরছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূল কি তাদের অফিস সরাবে, নাকি ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে সেটিকে রক্ষা করবে? আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে?
ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে অনিশ্চয়তা
তবে তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলাম এই অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন যে এই অফিস সম্পূর্ণ বৈধ এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।