দুর্গাপুর: পানাগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাদা SUV গাড়ির মালিক বাবলু যাদবকে চারদিন পর অবশেষে অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে কাঁকসা থানার তরফ থেকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়, তবে আদালত ৪২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

🔴 কী ঘটেছিল সেদিন?
গত রবিবার রাতে হুগলি জেলার চন্দননগরের বাসিন্দা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্ণধার তথা ডান্সার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নিজের গাড়ি নিয়ে বিহারের গয়া রওনা হয়েছিলেন, যেখানে তাঁকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হতো।
রাত ১২টার পর, তিনি পানাগড়ের জাতীয় সড়ক ১৯-এর ধারে এক পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়িতে জ্বালানি ভরেন। এরপরই একটি সাদা SUV তার গাড়ির পিছু ধাওয়া শুরু করে। SUV-তে থাকা যুবকরা সুতন্দ্রাকে কটূক্তি করতে শুরু করে, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়িতে ধাক্কা মারে।

সুতন্দ্রার গাড়ি উচ্চগতিতে পানাগড়ের পুরনো GT রোডে প্রবেশ করে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইস মিল রোডের কাছে উল্টে যায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
🚨 পুলিশের দাবিতে নতুন মোড়!
CCTV ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনার সময় সুতন্দ্রার গাড়িই বাবলু যাদবের SUV-কে ধাওয়া করছিল। এই দাবিতে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। SUV-র চালক বাবলু যাদব ও তার চার সঙ্গী দুর্ঘটনার পর গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।

🛑 ৪ দিন পর ধরা পড়ল বব্লু যাদব!
এই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে জাতীয় সড়কে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বব্লু যাদবকে অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করে।
🔥 বব্লু যাদবের দাবি: “ভয় পেয়েছিলাম, তাই পালিয়ে ছিলাম!”
শুক্রবার আদালতে তোলা হলে সাংবাদিকরা বাবলু যাদবকে জিজ্ঞাসা করে, সে কেন পালিয়েছিল? উত্তরে সে জানায়, “আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, তাই পালিয়ে ছিলাম।” তবে সে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এবং নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে।

⚠️ পুলিশের কড়া পদক্ষেপ!
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, বাবলু যাদবকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করা হবে। পাশাপাশি, অন্য অভিযুক্তদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি।
👉 এখন প্রশ্ন উঠছে, এই দুর্ঘটনা কি নিছকই একটি দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর চক্রান্ত? তদন্ত চলছে…