সিলিকোসিসে আক্রান্ত শ্রমিক! পাথর কারখানার সামনে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

single balaji

সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমান —
সালানপুর থানার অন্তর্গত পাতাল ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ৫১ বছরের সোরেন বাউড়ি মাঘইচক এলাকার একটি পাথর কারখানায় কাজ করতেন। তার পরিবারের দাবি, দীর্ঘ সময় ওই কারখানায় ধুলোময় পরিবেশে কাজ করতে করতে তিনি সিলিকোসিস (Silicosis) নামক প্রাণঘাতী ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

এই ঘটনার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা সোরেন বাউড়ির উপযুক্ত চিকিৎসা ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

🩸 সিলিকোসিস কী?

সিলিকোসিস একটি জীবনঘাতী রোগ, যা প্রধানত পাথর, বালি বা খনিজ ধুলোর মধ্যে কাজ করা মানুষদের হয়। এর ফলে ফুসফুসে দানা দানা আকারে ধুলো জমে, শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

😷 “পেটের দায়ে কাজ, পুরস্কার মিলল রোগ!”

সোরেন বাউড়ির স্ত্রী বলেন—

“স্বামী দিনের পর দিন কাশিতে ভুগছিলেন। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় ওনার সিলিকোসিস হয়েছে। এখন ঠিকমতো চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। আমরা সাহায্য চাই।”

পরিবারের অভিযোগ, কোনো ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হতো, ফলে ধুলোর সংস্পর্শে তার শরীর এই অবস্থায় পৌঁছেছে।

🏭 কারখানার পাল্টা বক্তব্য

তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—

“সোরেন বাউড়ি আমাদের এখানে খুব অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আগে থেকেই টিবি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সিলিকোসিস আমাদের কারখানার দায় নয়।”

এই বক্তব্য আরও ক্ষোভ বাড়িয়েছে এবং বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা কারখানার বিরুদ্ধে মানবিক অবহেলার অভিযোগ এনেছেন।

🔥 প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

  • বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক।
  • সোরেন বাউড়ির পরিবারের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা ও সরকারি স্বাস্থ্য বিমার আওতায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
  • এছাড়াও, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর করা হোক।
ghanty

Leave a comment