জামুড়িয়া:
‘শিল্প বাঁচাও, চাকরি বাঁচাও, জেলা বাঁচাও ও বাংলা বাঁচাও’—এই জ্বলন্ত দাবিকে সামনে রেখে রবিবার সকাল থেকে জামুড়িয়ায় শুরু হল সিটু (CITU)-র তিন দিনের বিশাল পদযাত্রা। শিল্পাঞ্চলের ভবিষ্যৎ, শ্রমিকদের চাকরির সুরক্ষা এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন শত শত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।
রবিবার সকালে পদযাত্রা শুরু হয় জামুড়িয়ার পুনিয়াটিয়ाह এলাকা থেকে। সেখান থেকে মিছিলটি জামুড়িয়া বাজার, নিমা ডাঙা হয়ে আখলাপুর পৌঁছয়। দুপুরে সংক্ষিপ্ত বিরতির পর ফের যাত্রা শুরু হয় শিবডাঙা থেকে, তারপর নিঘা কোলিয়ারি হয়ে রুটি-বাটি রোড ধরে এগিয়ে যায়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এখানেই প্রথম দিনের পদযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।
এই পদযাত্রায় শিল্প রক্ষা, বেকারত্বের অবসান, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং স্থায়ী কাজের দাবিতে একের পর এক স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। লাল পতাকায় ঢেকে যায় জামুড়িয়ার রাজপথ।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিআই(এম) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, সিটু জেলা সম্পাদক প্রবীর মণ্ডল, বস্তি উন্নয়ন কমিটির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় প্রামাণিক, সিপিআই(এম) নেতা তাপস কবি, মনোজ দত্ত, এমডি কালিমুদ্দিন, সুমিত কবি, বিকাশ যাদব, বুদ্ধদেব রজক, ভরত পাসওয়ান, মহিলা নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, সুভাষ বাউরি, কুন্তল চট্টোপাধ্যায়, শুভাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, এমডি কাইয়ুম, মুন্না আহির সহ অসংখ্য কর্মী ও সমর্থক।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, শিল্প ধ্বংস হলে শুধু শ্রমিক নয়—পুরো জেলা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাঁরা অভিযোগ করেন, পরিকল্পনাহীন নীতির কারণে একের পর এক কারখানা বন্ধ হচ্ছে, কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। অবিলম্বে শিল্পে বিনিয়োগ, স্থায়ী চাকরি ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি তোলা হয়।
আগামী আরও দুই দিন ধরে এই পদযাত্রা বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ঘুরে চলবে বলে জানিয়েছে সিটু নেতৃত্ব। প্রথম দিনের বিপুল জনসমাগমই প্রমাণ করে দিয়েছে—শ্রমিক সমাজ এখন আর চুপ করে বসে থাকার পথে নেই।












