গ্যাংটক | নিজস্ব সংবাদদাতা
সিকিম সরকারের তরফে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে। জানানো হয়েছে, ২৯ মে সকাল ৬টার মধ্যে গ্যাংটক শহর পর্যটকশূন্য করতে হবে। এর ফলে গোটা পর্যটন মহলে ও দর্শনার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
🎯 নির্দেশের মূল কারণ:
সূত্র মতে, ২৯ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিম সফরে আসছেন এবং গ্যাংটকে অনুষ্ঠিতব্য ৫০তম রাজ্য দিবস উপলক্ষে পালজর স্টেডিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন। এই মহা-উৎসব ও প্রধানমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে, গ্যাংটক শহর থেকে সব পর্যটক ও ভিজিটরদের চলে যেতে বলা হয়েছে।
🛣️ কেন এই সতর্কতা?
গ্যাংটকের রাস্তা বেশ সরু। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে স্থানীয়দের সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই কারণে জ্যাম ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে এই পদক্ষেপ।
পর্যটকদের অনুরোধ করা হয়েছে, স্থানীয় ট্যুর অপারেটর বা হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগেভাগেই নিরাপদ স্থান বা শহরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে।
🔒 রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার:
শুধু গ্যাংটক নয়, আলিপুরদুয়ার, বাগডোগরা, হাসিমারা বিমানঘাঁটি-সহ গোটা সিকিম ও উত্তরবঙ্গেও কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন হয়েছে।
২৯ তারিখ সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে গ্যাংটক, দুপুরে আলিপুরদুয়ার, এবং তারপর হাসিমারা ঘাঁটি হয়ে পাটনা যাবেন।
🏟️ মুখ্যমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ:
প্রসঙ্গত, ২৬ মে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং নিজে পালজর স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।
🗓️ সিকিম রাজ্য দিবস:
সিকিম ১৯৭৫ সালের ১৬ মে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে ১৬ মে রাজ্য দিবস পালিত হয়।
২০২৫ সাল উপলক্ষে এটি ৫০তম বার্ষিকী, যার স্মরণে এই অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ঐতিহাসিক হতে চলেছে।
🧳 উপসংহার:
সিকিম সরকারের এই পদক্ষেপকে কেউ কেউ যুক্তিযুক্ত বললেও, অনেক পর্যটক তাদের ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে নিরাপত্তা এবং অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করার প্রয়োজনে এই ধরনের উদ্যোগকে অনেকেই “সময়োচিত ও দায়িত্বশীল” পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।