কোচবিহার: মঙ্গলবার তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায়, যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ, হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দিকে।

🎯 কী ঘটেছিল?

সূত্র অনুযায়ী, এদিন কোচবিহার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। ঠিক সেই সময় খাগড়াবাড়ি এলাকায় তাঁর কনভয় ঢুকতেই শুরু হয় চরম উত্তেজনা। উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এরপর—

• শুভেন্দুর কনভয়ের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত
• পাথর ছোড়ার অভিযোগ
• শুভেন্দুর গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে যায়
• সঙ্গে থাকা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়

এই ঘটনার পর শুভেন্দুর কনভয় সরাসরি বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে পৌঁছায়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

🔥 রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে

বিজেপির অভিযোগ, “তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে বিরোধী নেতার ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল পক্ষ থেকে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করা হচ্ছে— “বিক্ষোভ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের যোগ নেই।”

👮 তদন্তে নেমেছে পুলিশ

ঘটনার পরে কোচবিহার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

• সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে
• কারা পাথর ছুঁড়েছিল, তাও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে
• রাজ্য পুলিশের তরফে এখনও কোনও মামলা রুজু হয়নি

বিরোধী শিবিরের দাবি, “নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।“

🗳️ রাজনৈতিক বার্তা

এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সামনে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কোচবিহার জেলা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, “শুভেন্দুর গাড়ি ভাঙচুর শুধু একটি হামলা নয়, এটা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।“