বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা হঠাৎ করেই পরিবর্তিত হয়েছে। সোমবার রাতেই দিল্লির এয়ারবেসে পৌঁছান হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সাথে ছিলেন সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
লন্ডন না হয়ে দিল্লিতে কেমন পরিবর্তন?
আসলে, প্রথমে হাসিনার দিল্লি থেকে লন্ডনে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু রাতের মধ্যেই জানা যায় যে লন্ডন যাত্রার পরিকল্পনা পরিবর্তিত হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির একটি বিবৃতির পর এই পরিবর্তন এসেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি বললেন?
লন্ডনে ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহে নজিরবিহীন হিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছে। এখন সব পক্ষকে মিলে এই হিংসতা বন্ধ করতে, শান্তি ফেরাতে এবং ভবিষ্যতে প্রাণহানি রোধে কাজ করতে হবে।” এছাড়াও, তিনি দাবি করেন যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্ত হওয়া উচিত যা জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।
হাসিনা কোথায় যাচ্ছেন এখন?
অজিত ডোভালের সাথে বৈঠক শেষে, শেখ হাসিনাকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি তার মেয়ে সাইমা ওয়াজিদ এর সাথে দেখা করবেন, যিনি দিল্লিতে থাকেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক।
এই ঘটনার পেছনে আরও কি আছে?
হাসিনার লন্ডন সফরের পরিকল্পনার পরিবর্তনের পেছনে নানান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। বর্তমানে, এটি স্পষ্ট নয় যে আগামী দিনগুলোতে হাসিনার কী পরিকল্পনা থাকবে, তবে তার নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ অব্যাহত থাকবে।