আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য এবং বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার ইউসিসি (সামান্য নাগরিক সংহিতা) নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি উত্তরাখণ্ড সরকারের ইউসিসি বাস্তবায়নের পদক্ষেপকে সঠিক বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে এটি সমস্ত রাজ্যে পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে প্রয়োগ করা উচিত। পাশাপাশি, তিনি নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস প্রচারের কথা বলেন, যা বিতর্ক আরও গভীর করে তুলেছে।
কংগ্রেসের তীব্র প্রতিবাদ:
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস নেতা প্রসনজিৎ প্রতিনিধির মতে, “তৃণমূল এবং বিজেপির আঁতাত বহুদিন ধরেই সন্দেহজনক ছিল। এখন শত্রুঘ্ন সিনহা সেই আগুনে ঘি ঢালছেন। আমাদের দেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি। কোনও রাজনৈতিক দল ঠিক করবে না যে আমরা কী খাব। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করি।”
এআইএমআইএম নেতার আক্রমণ:
পশ্চিম বর্ধমান জেলার এআইএমআইএম কমিটির সভাপতি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক দানিশ আজিজ শত্রুঘ্ন সিনহার বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “এখন কি রাজনীতিবিদরা ঠিক করবেন যে মানুষ কী খাবেন? এটি বিজেপির ভাষা, যা এখন তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলছেন। এতদিন বিজেপির সঙ্গে থাকার প্রভাব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাব।”
তৃণমূল কংগ্রেসের নীরবতা:
এই বিতর্কের পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে দল শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে তার বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারে।
ভবিষ্যতের রাজনৈতিক চিত্র:
বিশ্লেষকদের মতে, শত্রুঘ্ন সিনহার এই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আগামী লোকসভা নির্বাচনে সমস্যার কারণ হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হলো, তিনি তার বক্তব্য নিয়ে কোনও সাফাই দেন কিনা এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই বিতর্কে কী অবস্থান নেয়।