পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহ আদালত ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত ₹৫০,০০০ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে। এই ঘটনা গত বছরের ৯ আগস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ঘটেছিল, যেখানে ভুক্তভোগীর মৃতদেহ সেমিনার হলে পাওয়া গিয়েছিল।
সিবিআই তদন্ত ও প্রমাণের ভূমিকা
সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে উপস্থাপিত প্রমাণগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি জানান, সেদিন ভুক্তভোগী টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটিতে ছিলেন এবং এই সময়ের মধ্যেই তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। তদন্তে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব প্রমাণ পাওয়া যায়, যা তার নির্দোষতার দাবিকে ভুল প্রমাণিত করে।
রায়ের প্রধান পয়েন্টগুলি:
- সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি:
ভুক্তভোগীর বাবা দোষীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিলেন, তবে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। - ঘটনার পর পদক্ষেপ:
ভুক্তভোগীর মৃতদেহ পাওয়ার পর অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তদন্তের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই গ্রহণ করে। - ১৬২ দিনে দোষী সাব্যস্ত:
এই মামলার শুনানি গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় এবং মাত্র ৫৯ দিনের মধ্যে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাইছিলাম, এবং এই রায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের ন্যায় পাওয়ার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।”
শহরে কড়া বার্তা:
এই ঘটনা এবং আদালতের রায় অপরাধীদের উদ্দেশ্যে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছে যে, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আপস কখনই সহ্য করা হবে না।