আসানসোল রিপোর্ট: সৌরভ শর্মা : আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মা সরস্বতীর প্রতিমা নির্মাণের ঐতিহ্য বহু পুরনো। এখানকার প্রতিমাগুলি শুধুমাত্র শিল্পকলার নিদর্শন নয়, ভক্তিময় আবহও তৈরি করে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, আর প্রতিমাশিল্পীরা তাদের সেরা শিল্পকর্ম প্রদর্শন করছেন।
শনিবার আসানসোল রেলওয়ে স্টেশনের দৃশ্য ছিল মনোমুগ্ধকর। ট্রেনের মাধ্যমে সাজানো-গোছানো দেবী সরস্বতীর মহিমান্বিত প্রতিমাগুলি বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছিল। ভক্ত ও ব্যবসায়ীরা বড় উন্মাদনার সঙ্গে এই প্রতিমাগুলি তাদের এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ভক্ত ও ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া
দেওঘর থেকে আসা সোনু কুমার বললেন, “আমরা গত ১০ বছর ধরে এখান থেকে মা সরস্বতীর প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছি। এখানকার প্রতিমাগুলি শুধু সুন্দরই নয়, এতে দেবীর ঐশ্বরিক রূপের ঝলকও দেখা যায়।”
একইভাবে বিহারের জামুই জেলা থেকে আসা ত্রিপুরারী কুমার গুপ্তা বললেন, “আমরা গত ১৫ বছর ধরে আসানসোল থেকে সরস্বতী প্রতিমা কিনে আসছি। এখানকার প্রতিমাগুলিতে ভক্তি ও অসাধারণ কারিগরির মেলবন্ধন থাকে, যা বিহারের মানুষ অত্যন্ত পছন্দ করেন।”d

আসানসোলের মাটি থেকে তৈরি আস্থার প্রতীক
আসানসোলের মাটি থেকে তৈরি এই প্রতিমাগুলি শুধুমাত্র একটি মূর্তি নয়, বরং শিল্পীদের বছরের পর বছরের সাধনা ও বিশ্বাসের প্রতীক। যখন এই প্রতিমাগুলি ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়, তখন সেখানকার মানুষ মা সরস্বতীর এই মহিমান্বিত রূপের দর্শন করে ধন্য হন।

আসানসোলের সাংস্কৃতিক পরিচিতির প্রভাব
এই ঐতিহ্য শুধুমাত্র আসানসোলকে একটি শিল্পাঞ্চল হিসেবে নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে। সরস্বতীর এই প্রতিমাগুলি ভক্তদের জীবনে আস্থা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়।