আসানসোল, শুক্রবার—লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে যখন রাজনৈতিক পালাবদলের হাওয়া জোরাল, ঠিক তখনই আসানসোলে বিজেপির ‘সঙ্কল্প যাত্রা’ নতুন মাত্রা এনে দিল রাজনীতিতে। শুক্রবার চার্চ মোরে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের ঢল নামল। মিছিল, স্লোগান, আর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে জমে উঠল রাজনৈতিক পরিবেশ।
এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য। কিন্তু দিনটির সবচেয়ে বড় চমক ছিল—আসানসোলের জনপ্রিয় সমাজসেবী কৃষ্ণ প্রসাদের বিজেপিতে সক্রিয়ভাবে পুনরাগমন।
🔶 কৃষ্ণ প্রসাদের ঘরে ফেরা: বিজেপিতে নতুন জোয়ার
দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার পর কৃষ্ণ প্রসাদ শুক্রবারের মঞ্চে আবার ফিরলেন সক্রিয় ভূমিকায়।
তিনি ঘোষণা করেন—
- আবারও সক্রিয়ভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করবেন
- ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিল্পাঞ্চল কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন
শমিক ভট্টাচার্য তাঁকে প্রকাশ্যে প্রশংসা করে বলেন—
👉 “এবার কৃষ্ণ প্রসাদ বিজেপির পতাকা হাতে মানুষকে সেবা করবেন। দলের শক্তি দ্বিগুণ হবে।”
স্থানীয় নেতাদের মতে, কৃষ্ণ প্রসাদের ফেরত আসা শিল্পাঞ্চল-আসানসোলের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
🔥 শমিক ভট্টাচার্যের তীব্র আক্রমণ—‘সুভেন্দুই এখন সিনড্রোম’
সভামঞ্চ থেকে শমিক ভট্টাচার্য সোজাসুজি আক্রমণ করেন রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে।
তিনি বলেন—
👉 “চিফ ইলেকশন কমিশনার দিল্লিতে বসে নির্দেশ দেবেন না। বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে মাঠে নামা উচিত।”
বাগডোগরায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্কল্প যাত্রা আটকানো নিয়ে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন—
👉 “সুভেন্দু এখন বাংলার রাজনৈতিক সিনড্রোম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পাচ্ছেন। তাই যাত্রা আটকানো হয়েছে।”
তার বক্তব্যের পরেই মঞ্চে শোরগোল, তুমুল স্লোগান, আর ‘পরিবর্তন’ দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
🌟 জনসমাগমে বার্তা স্পষ্ট: ২০২৬-এর লড়াই শুরু
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে—
- সঙ্কল্প যাত্রায় মানুষের নজিরবিহীন ভিড়
- কৃষ্ণ প্রসাদের সক্রিয় প্রত্যাবর্তন
- শমিক ভট্টাচার্যের আগুনে ভরা বক্তব্য
—সব মিলিয়ে স্পষ্ট বার্তা—বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই আগ্রাসী রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও বড় মাপের আন্দোলন ও কর্মসূচি আসছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।












