[metaslider id="6053"]

বস্তির শিশুদের সঙ্গে জন্মদিন কাটিয়ে নজির গড়লেন সঞ্জয় সিনহা

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
সাধারণত মানুষ জন্মদিনে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঘরোয়া আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু মিডিয়া পার্সোনালিটি এবং সমাজসেবী সঞ্জয় সিনহা দেখালেন একেবারে অন্যরকম পথ। তিনি তাঁর জন্মদিনটি পালন করলেন হীরাপুরের এক অতি পিছিয়ে পড়া এলাকার শিশুদের সঙ্গে, সমাজের সেই অংশের সঙ্গে যারা আজও সুখের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত।

শনিবার জন্মদিনের দিন সঞ্জয় সিনহা, যিনি ইন্টারন্যাশনাল ইকুইটেবল হিউম্যান রাইটস সোশ্যাল কাউন্সিল-এর ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান, নিজে গিয়ে ওই এলাকার শিশুদের সঙ্গে কেক কাটেন এবং শিশুদের হাতে লেখার সামগ্রী (স্টেশনারি) বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে তাদের শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করেন।

সঞ্জয় সিনহা বলেন—

“আমি চাই, আমার সুখের একটি ফোঁটা সমাজের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছাক। আমি সবসময় সেই মানুষদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করি, যারা বছরের পর বছর আনন্দ থেকে বঞ্চিত।”

বৃদ্ধাশ্রম থেকে স্লাম এলাকা—সমাজের পাশে সর্বদা সঞ্জয় সিনহা

দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত, নিরাশ্রয়, অসহায় ও বৃদ্ধদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সঞ্জয় সিনহা। তিনি নিয়মিত বৃদ্ধাশ্রম, দৃষ্টি/শারীরিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র এবং বস্তি এলাকাগুলিতে যান, তাদের সঙ্গে সময় কাটান ও সাহায্য করেন। তার মতে—

“আজ সকাল থেকেই অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি, কিন্তু আমার মন পড়ে ছিল সেই শিশুদের মধ্যে যারা জানেই না জন্মদিন কাকে বলে। আমি চাই, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সমাজ ও দেশের জন্য কিছু ভালো কাজ করি।”

তিনি আরও বলেন

“সংস্থার প্রত্যেক সদস্যকে আমি বলি, অর্থ সাহায্য যদি না পারো, অন্তত শারীরিক ও মানসিক সহায়তা দাও। তাদের আশীর্বাদ তোমায় অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে—এটা আমার বিশ্বাস।”

এই মহান উপলক্ষে তার সঙ্গে ছিলেন সংস্থার অন্যান্য সদস্য শুভম শর্মা, কৌশিক রায় চৌধুরী, বিষ্ণু মণ্ডল, শান্তনু বিশ্বাস প্রমুখ। সকলে মিলে শিশুদের হাতে স্টেশনারি, মিষ্টি তুলে দেন এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেন।

ghanty

Leave a comment