কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার পরিচালিত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রশিক্ষণরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ কলকাতা আদালতে প্রথম রায় ঘোষণা হতে চলেছে। এই ঘটনার বিচার নিয়ে গোটা রাজ্য এবং চিকিৎসকমহলে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
🔹 ৩১ বছর বয়সী এক প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকের মৃতদেহ ২০২৪ সালের ৯ই আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে উদ্ধার করা হয়।
🔹 অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
🔹 ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোন উদ্ধার হয়, যার সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
🔹 সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে ওই ইয়ারফোন পরিহিত অবস্থায় সেমিনার হলে ঢুকতে দেখা যায়।
দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ!
এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারা দেশে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা ও দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে।
আজ রায়দানের দিন!
এই চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার প্রক্রিয়া ৫৭ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
🔹 বিচারপতি অতিরিক্ত জেলা ও সেশনস জজ অনির্বাণ দাস আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
🔹 বিচার প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর শুরু হয় এবং ৫০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
🔹 ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।
আদালতের রায়ে কী হবে? তীক্ষ্ণ নজর গোটা রাজ্যের!
কলকাতা ও গোটা দেশ আজ এই গুরুত্বপূর্ণ রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কি শাস্তি পায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়? সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা জোরদার করা হবে?
আজকের রায় কি ভবিষ্যতে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন নির্দেশনা আনবে? গোটা ডাক্তার সমাজের দাবি, এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।