রানিগঞ্জ, আসানসোল:
সোমবার রানিগঞ্জ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-র দপ্তরের সামনে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, রানিগঞ্জ জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল ১১ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি বিডিওর হাতে তুলে দেয়।
📌 প্রধান দাবিগুলি ছিল:
- প্রতিটি আদিবাসী পরিবারকে বাসস্থান ও কৃষিজমি প্রদান।
- প্রতিটি আদিবাসী এলাকায় জাহেরথান ও মাঝিথানের জন্য পট্টা প্রদান এবং সরকারি খরচে নির্মাণ।
- অ-আদিবাসীদের হাতে থাকা ভুয়া এসটি সার্টিফিকেট বাতিল।
- ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের টাকা আদিবাসী প্রধান এলাকায় ব্যয়।
- ড্যামোদর নদ তীরবর্তী গ্রামগুলির শ্মশান রক্ষা (ডামালিয়া, হাঁড়াভাঙা, নূপুর, নারায়ণকুড়ি ও তিরাট)।
- আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের সময়মতো বৃত্তি প্রদান।
- শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ।
- সমস্ত আদিবাসী পরিবারকে আবাসন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি।
- কয়লাখনি খননের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধ।
- আইসিডিএস-এ সঠিক নিয়োগ ব্যবস্থা।
- পিএইচই-র মাধ্যমে পাইপ লাইনে যথাযথ পানীয় জলের সরবরাহ।
📌 নেতৃত্ব ও উপস্থিতি
এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় হেমব্রম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেবু মুর্মু, মঙ্গল হেমব্রম সহ বিপুল সংখ্যক আদিবাসী মানুষ।

📌 সরকারকে কড়া সতর্কবার্তা
সঞ্জয় হেমব্রম বলেন –
“যদি সরকার অবিলম্বে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়, তবে আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও তীব্র ও সর্বব্যাপী হবে।”
তিনি আরও আহ্বান জানান, আদিবাসী সমাজের আরও বেশি মানুষ যেন এই আন্দোলনে সামিল হন।
📌 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
আদিবাসী সমাজের দাবি, এগুলো শুধু উন্নয়ন নয়, তাদের অস্তিত্ব ও আত্মসম্মানের লড়াই। বিশেষ করে শিক্ষা, বাসস্থান, শ্মশান রক্ষা এবং চাকরির বিষয়গুলো তাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।
👉 স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে আগামী দিনে রানি গঞ্জ থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে এই আন্দোলন আরও বড় আকার নিতে পারে।












