আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
রানিগঞ্জে শিক্ষা ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা। আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রানিগঞ্জ এলাকায় মোট পাঁচটি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, আসানসোল পুরসভার অন্তর্গত রানিগঞ্জে তিনটি বাংলা মাধ্যম, একটি হিন্দি মাধ্যম এবং একটি উর্দু মাধ্যম স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৪ সাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলগুলোর কম্পোজিট গ্রান্টও, ফলে ছাত্রছাত্রীদের মৌলিক সুবিধাগুলি লাটে উঠেছে। অভিযোগ, এই স্কুলের পড়ুয়ারা সরকার পরিচালিত অন্যান্য স্কুলের মতো বিনামূল্যের পোশাকও পাচ্ছে না।
তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৃণমূল নেতাদের “রানিগঞ্জে উন্নয়ন হয়েছে” – এই দাবি পুরোপুরি “ভাঁওতা” বলে উড়িয়ে দেন। তিওয়ারির প্রশ্ন, “যখন সরকার সর্বত্র উন্নয়নের কথা বলে, তখন রানিগঞ্জ কেন বঞ্চিত?”
তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালের পর থেকে রানিগঞ্জে কোনও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। অথচ কিছু সামান্য উদ্যোগেই বহু কাজ সম্পন্ন হতে পারত।” তাঁর মতে, রানিগঞ্জ আসানসোল অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর, এবং এর এই অবস্থা ‘ক্ষমাহীন’।
📞 বিপরীতে কী বলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
রানিগঞ্জ বরো চেয়ারম্যান মুজাম্মিল শাহজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কম্পোজিট গ্রান্ট বন্ধের বিষয়ে অফিস থেকে যাচাই না করে কিছু বলা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি যদি বলছেন ২০২১-এর পর কোনও উন্নয়ন হয়নি, তাহলে হয়তো তিনিই ২০২১-এর আগেই সব কাজ সেরে ফেলেছেন।”
🗣️ মেয়রের দাবি
“রানিগঞ্জ বা রাজ্যের কোনও শহরই বঞ্চিত নয়। তৃণমূল সরকারের অধীনে প্রতিটি কোণায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। রানিগঞ্জও এর ব্যতিক্রম নয়।”
🔥 রাজনৈতিক মহলে তপ্ত আলোচনা
তিওয়ারির এই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল কংগ্রেস ও পুর প্রশাসন কীভাবে এই অভিযোগের জবাব দেয় এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলির বিষয়ে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা।












