📍রানীগঞ্জ থেকে রিপোর্ট:
রাতের অন্ধকারে চলছে রমরমিয়ে জুয়া! কিন্তু এবার পুলিশের কড়া নজরদারিতে ধরা পড়ে গেল সেই চক্র। মঙ্গলবার গভীর রাতে রানীগঞ্জ থানার বাঁশড়া অঞ্চলের একটি ধাবা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার নগদ অর্থসহ ৭ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করলো রানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্তর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী রাতেই হানা দেয় ওই ধাবায়। অতর্কিতে চালানো অভিযানে জুয়ার বোর্ড থেকে নগদ ₹১০,০৩,১০০ টাকা, ১০ সেট প্লেয়িং কার্ড ও ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
👮♂️ গ্রেফতারদের পরিচয়:
এই অভিযানে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন—
- দুর্গাপুর রিয়াল টাউনশিপের সঞ্জীব সাহা ওরফে বাবিন,
- মঙ্গলপুরের সুরজিৎ সানা,
- এনএসবি রোডের বীরেন্দ্র কুমার বাজাজ ওরফে বীরেন্দ্র,
- জামুরিয়া বাজার এলাকার কালিপ্রসাদ জয়সওয়াল,
- রানীগঞ্জ এলাকার সৎপাল সিং ওরফে পালি,
- রানীগঞ্জের মোহাম্মদ শাহজাদা ওরফে এমডি,
- দুর্গাপুর এবিএল টাউনশিপের গোবর্ধন রেড্ডি।
⚖️ আদালতে তোলা হল অভিযুক্তদের:
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে ধৃতদের সবাইকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন জানায় যাতে এই জুয়া চক্রের পেছনে থাকা মূল মাস্টারমাইন্ডদেরও চিহ্নিত করা যায়।
💬 পুলিশের বক্তব্য:
ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্ত বলেন —
“রানীগঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় অবৈধ জুয়া ও বেআইনি লেনদেনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ রেহাই পাবে না।”
📢 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন —
“রাতের বেলায় এই ধাবা গুলোতে জুয়া, মদ আর সন্দেহজনক লোকজনের আনাগোনা চলত। অবশেষে পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।”
🔥 পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে:
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জ, জামুরিয়া ও দুর্গাপুর জুড়ে আরও বেশ কিছু জুয়া চক্র সক্রিয় রয়েছে।
ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় নজরদারি ক্যামেরা ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
📌 উপসংহার:
রানীগঞ্জের ধাবায় ১০ লক্ষ টাকার জুয়া ধরা পড়ায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে—এই জুয়া চক্রের সঙ্গে বড় কোনো সিন্ডিকেট বা অর্থনৈতিক লেনদেন জড়িত আছে কি না।

















