আসানসোল/রানিগঞ্জ: আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চর্বি মহল্লার নালা ১০ দিন ধরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, আর এই কারণে পুরো এলাকায় নোংরা জল রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। হাঁটা-চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শিশুদের খেলাধুলোর জায়গাতেও জমে আছে পাঁক-পচা জল—ফলে রোগ ছড়ানোর তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ—
“পার্সোনাল কেয়ার নেওয়ার মতো কাউন্সিলর নেই। চর্বি মহল্লার সঙ্গে বরাবরই অবহেলার আচরণ করা হয়।”
🌊 রাস্তায় নোংরা জল, সর্বক্ষণ বাজে গন্ধ—মানুষের নিত্যযাত্রা বাধাগ্রস্ত
বাসিন্দারা বলেন, ১০ দিন ধরে নালা জ্যাম হয়ে থাকার কারণে চর্বি মহল্লা যেন “গন্ধের শহরে” পরিণত হয়েছে।
জল বের হতে না পারায় রাস্তায় হাঁটা থেকে শুরু করে বাইক চালানো পর্যন্ত সবকিছুই কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাদের কথায়—
“এখানে একটি ডাস্টবিন আছে ঠিকই, কিন্তু তার আশপাশে কখনোই সাফাই হয় না।
পৌরসভার নিয়মিত পরিষ্কারের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত নেই।
আমরাই নিজেরা সাফাইকর্মীদের ধরে এনে অনুরোধ করে পরিষ্কার করাই!”
🏗 ৮–১০ দিন ধরে চলছে পরিষ্কারের কাজ, তবুও সমাধান নেই—মানুষের প্রশ্ন
বাসিন্দাদের অভিযোগ—
“একটা মহল্লার একটা নালা পরিষ্কার করতে ১০ দিন লাগলে…
রানিগঞ্জের বড় বড় ড্রেন পরিষ্কার করতে কত মাস লাগবে?”
তাদের মতে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা চর্বি মহল্লার সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এলাকাবাসী বহুবার অভিযোগ করলেও কাজ হয় খুবই ধীরে।
🗣 কাউন্সিলর রাজু সিংয়ের ব্যাখ্যা—“রেলওয়ের রাস্তা নির্মাণেই সমস্যা”
স্থানীয় কাউন্সিলর রাজু সিং বলেন—
- রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি নতুন রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছিল
- সেই কাজে ব্যবহৃত ইট, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য মাটি নালার ভিতরে ঢুকে আটকে গেছে
- তাই জল বেরোতে পারছে না
- ফলে পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে
তিনি আরও বলেন—
“রাস্তা ভেঙে নালার ভেতর ঢুকে পরিষ্কার করা গেলে ১–২ দিনেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু তাহলে ১৫–২০ দিন রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে, যা সম্ভব নয়।
এটি খুবই ব্যস্ত রাস্তা—তাই আমরা চেষ্টা করছি রাস্তা না ভেঙেই সমাধান করতে।”
🚜 মেশিন দিয়ে পরিষ্কার চলছে—তবুও রাস্তা না ভাঙার চেষ্টায় দেরি
রাজু সিং জানান—
- গত বৃহস্পতিবার থেকেই মেশিনের সাহায্যে পরিষ্কার চলছে
- কিন্তু নালার ভেতরে জমে থাকা নির্মাণসামগ্রী সরানো অত্যন্ত কঠিন
- তবুও দল চেষ্টা করছে যাতে রাস্তা ভাঙতে না হয়
তার আশা—
“খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মানুষের কষ্ট কমাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
⚠ বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা—“আর দেরি হলে বড় আন্দোলন হবে”
নোংরা জল, গন্ধ ও রোগের আশঙ্কায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
তাদের হুঁশিয়ারি—
“আর দু’এক দিনের মধ্যে কাজ দ্রুত না হলে আমরা পৌরসভার সামনে বিক্ষোভে নামব।”












