রানিগঞ্জ: “বইয়ের জন্য হাঁটুন”—এই বার্তা ছড়িয়ে তৃতীয় দফার রানীগঞ্জ বইমেলার শুভ সূচনা হল সিয়ারসোল রাজ ময়দানে। বইপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের জনশিক্ষা প্রচার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মেলার উদ্বোধন করেন। তবে বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চেই রাজনৈতিক বিতর্কের আগুন জ্বালিয়ে দেন তিনি!
কী বললেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?
📌 “সনাতন ধর্ম স্রোতের বিরুদ্ধে বইছে, মহারাজদের উচিত একে রক্ষা করা।”
📌 “ইসলাম ধর্মে হিংসার স্থান নেই, স্বামীজিই প্রকৃত সনাতন হিন্দু।”
📌 “বাংলা ভাষার উপর বারবার আক্রমণ, বাঙালিরা মাথা উঁচু করে চলুন!”
📌 “কিছু নেতা সর্বদা মিথ্যে বলে, মিডিয়া শুধু সেই মিথ্যেই প্রচার করে!”
📌 “টাকা দিয়ে মন জয় করা যায় না, তাই ‘মমতা মডেল’ কেউ দেখাতে চায় না।”
📌 “স্বাধীনতা আন্দোলনে ইংরেজদের দালাল ছিল অনেকে, তারাই এখন ৬৫ ইঞ্চি ছাতি দেখাচ্ছে!”
📌 “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত, কিন্তু মোদীজি সেখানে যান না কেন?”
মন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুরা অনেক ভালো আছে, যা অন্য রাজ্যের তুলনায় উন্নত। তিনি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, “সংখ্যালঘুদের অবস্থা খারাপ হলে সেটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা।”
⚡ বিজেপির পাল্টা আক্রমণ, জিতেন্দ্র তিওয়ারির তোপ!
সিদ্দিকুল্লার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক ও আসানসোল পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র, বিজেপির জনপ্রিয় নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি সরাসরি মন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলেন—
🔸 “আসানসোলের আরেক নাম ‘City of Brotherhood’, এখানে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে থাকে!”
🔸 “একজন গ্রন্থাগার মন্ত্রী হয়ে আপনি রানিগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে হিন্দুদের শেখাতে পারবেন না, কী তাদের পালন করা উচিত আর কী নয়!”
🔸 “আপনার কাজ বই নিয়ে কথা বলা, অথচ আপনি বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে রাজনৈতিক প্রচার করছেন!”
🔸 “আপনি যদি ভবিষ্যতে এরকম মন্তব্য করেন, তাহলে আরও প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে!”
বইমেলার গুরুত্ব নাকি রাজনৈতিক মঞ্চ?
বইমেলার মতো সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানচর্চার মঞ্চকে রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে সিদ্দিকুল্লার বিরুদ্ধে। অনেকেই মনে করছেন, মন্ত্রী যদি রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির উন্নয়নের দিকে নজর দিতেন, তাহলে বইমেলার আসল উদ্দেশ্য সফল হতো!