সঞ্জীব যাদব, বরাকর: শহরের চৌকবাজার এলাকার শ্রী মারোয়াড়ি পঞ্চায়েতি ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণ শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিণত হয় এক ভক্তিময় আবহে। সমাজসেবী সংগঠন ‘দাদি মা কি লাডলি’–র উদ্যোগে অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় রানী সতি দাদি-র জন্মোৎসব।
এই শুভ উপলক্ষে শতাধিক মহিলা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে উপস্থিত হয়ে দাদির মঙ্গলপাঠ পাঠ করেন এবং ফুল, প্রদীপ ও রঙোলিতে সেজে ওঠে ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণ।
🌺 রাজস্থানের লোকগীত ও ভজনের সুরে ভাসল বারাকর
আমলানবমী–র বিশেষ দিনে দাদি মাকে শোভিত করা হয় রূপ-রঙে। স্থানীয় মহিলারা রাজস্থানের সুরে গাইলেন ভজন ও লোকগীতি। ভক্তদের চোখে জল এনে দিল দাদির অলৌকিক কীর্তির কাহিনি। তাঁদের বিশ্বাস, রানী সতি দাদির পূজা করলে সংসারে আসে সুখ-সমৃদ্ধি ও মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ।
🌸 ঐক্যের নজির: নারীদের হাতে সফল উৎসব
ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হেমলেখা আগরওয়াল, মধু গোয়েল, প্রীতি, নিকি জলান, পরভীন আগরওয়াল, রঞ্জনা গৌহানিওয়াল, বিনীতা, সীমা, চন্দা, সুনীতা ও সঙ্গীতা আগরওয়াল প্রমুখ। তাঁদের উদ্যোগে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয় পাঠ, প্রসাদ বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক পর্ব।
🌼 রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে বারাকর—ভক্তির সেতুবন্ধন
উল্লেখ্য, রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় অবস্থিত বিখ্যাত রানী সতি দাদির মন্দির, যেখানে প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত দর্শনে আসেন। বারাকরের এই পূজার মাধ্যমে সেই আস্থার স্রোত আজ শহরেও বইল, যা প্রমাণ করে ভক্তির কোনও ভৌগোলিক সীমানা নেই।
🌟 সাধারণ মানুষে উচ্ছ্বাস, ভক্তিময় পরিবেশে মুখর শহর
ঠাকুরবাড়ির বাইরে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই জানান, এই ধরনের উৎসব শহরে ইতিবাচকতা ও ভ্রাতৃত্বের বাতাবরণ তৈরি করে। অনুষ্ঠান শেষে বিতরণ করা হয় প্রসাদ ও ভক্তদের মধ্যে ভাগ করা হয় দাদির আশীর্বাদ।

















