রামনবমীর আগে উত্তপ্ত বাংলা! পুজো প্যান্ডেলে আগুন, ‘শুভেন্দু ফিরে যাও’ পোস্টারে রাজনীতি তুঙ্গে

কলকাতা: রামনবমীর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় চরম উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থানার অন্তর্গত বরগুম কচরিবাড়ি এলাকায় দুষ্কৃতীরা বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেল ও প্রতিমায় আগুন লাগিয়ে দেয়, অন্যদিকে নদিয়া জেলার রানাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে উঠেছে।

🔥 ৪০ বছরের পুরনো বাসন্তী পুজোয় আগুন, প্রতিমা পুড়ে ছাই

অগ্রদূত সংঘ ক্লাব গত ৪০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী বাসন্তী পুজোর আয়োজন করে আসছে। কিন্তু শনিবার ভোরবেলা হঠাৎ দেখা যায়, প্যান্ডেলের পিছনে আগুন জ্বলছে, এবং প্রতিমার একটি অংশ পুড়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, “আমরা রাত ২টা পর্যন্ত ক্লাবে ছিলাম, কিন্তু ভোর ৪টা নাগাদ দেখি কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”

খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসডিপিও হাবরা ও গোবরডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার পিঙ্কি ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা হাবরা-গোবরডাঙা রোডের কচরিবাড়ি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ এখন তদন্ত করছে, কে বা কারা গভীর রাতে আগুন লাগিয়েছে

📌 ‘শুভেন্দু ফিরে যাও’ পোস্টার ঘিরে রানাঘাটে উত্তপ্ত রাজনীতি

রামনবমীর মিছিলের আগে নদিয়ার রানাঘাটে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে ‘শুভেন্দু ফিরে যাও’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। বিশ্বাসপাড়া এলাকায় এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খবর পেয়ে রানাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পোস্টারটি সরিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে নদিয়া সফরে রয়েছেন।

🛡️ হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে হাই কোর্টের ছাড়পত্র, প্রশাসনের নজরদারি

রবিবার হাওড়ার জিটি রোড এলাকা থেকে রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরোবে। হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পাওয়ার পর প্রশাসন চরম সতর্কতা অবলম্বন করছে। ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি, রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ জোর কদমে চলছে এবং দোকানপাট সাময়িকভাবে সরানো হচ্ছে যেন মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

এক দোকানি জানান, “প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সাময়িকভাবে দোকান সরাচ্ছি, রামনবমীর পর আবার বসাব।”

🚨 স্থানীয়দের দাবি: “এটা শুধু আগুন নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের ওপর আঘাত”

স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনাগুলি পরিকল্পিত ভাবে সমাজে ভয় এবং বিভাজন সৃষ্টি করার চক্রান্ত। পুজোর আগে এই ধরণের হামলা সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে।

ghanty

Leave a comment