বরাকার, পশ্চিম বর্ধমান, সঞ্জীব যাদব:
রবিবার রাতে মহররম উপলক্ষে আখড়ার মিছিল চলাকালীন কুলটি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কুলটি ব্লক শাখা বরাকরের বেগুনিয়া মোড়ে ধর্না ও পথ অবরোধ করে। পাশাপাশি, বরাকর বাসস্ট্যান্ডের কাছেও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
❗ কী হয়েছিল?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি শ্রীরাম সিংহ অভিযোগ করেন,
“প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা বেগুনিয়া বাজারের শিবমন্দির রোডের পাশে দাঁড়িয়ে মহররম আখড়ার অংশগ্রহণকারীদের ‘রাম সালাম’ জানাচ্ছিলাম। তখন কুলটি থানার দুই পুলিশ অফিসার এসে চন্দন নামের এক যুবককে বিনা কারণে চড় মারেন। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।”
🪧 ধর্না, পথ অবরোধ ও সমঝোতা
বেগুনিয়া মোড়ে ধর্নার পরে কুলটি থানার সামনে গিয়েও পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কুলটি থানার আইসি কৃষলেন্দু দত্ত-এর আহ্বানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে থানায় বৈঠক হয়। সেখানে বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ সুখান্ত দাস উপস্থিত ছিলেন।
দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়।
👥 উপস্থিত বিশিষ্টরা:
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন —
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ: অমিত সরকার
হিন্দু জাগরণ মঞ্চ: রাকেশ গুপ্ত, বিনয় যাদব
আরএসএস কুলটি নগর প্রধান: রাজীব প্রসাদ
অন্যান্য: পিন্টু কুমার, রবি সিংহ, জয়প্রকাশ রাওয়ানি, রাজা প্রসাদ, বীরেন্দ্র সিংহ, কৃষ্ণা, দেবু মাহাতো, পিন্টু সুহাসরিয়া, অমর, বাবলু, অমর টাঁটি ও আরও অনেকে।
📢 সামাজিক বার্তা:
ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পুলিশি সংবেদনশীলতার মাঝে সামঞ্জস্য রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ‘রাম সালাম’ জানানো নিয়ে চড় মারা ও ধাক্কাধাক্কি করা ঘটনা শুধু আইন শৃঙ্খলা নয়, সম্প্রীতির পরিবেশকেও চ্যালেঞ্জ করে। সমাজ ও প্রশাসনের উচিত আরও সংযম ও যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা মেটানো।