রানীগঞ্জ: নকল ওষুধের বিক্রি বন্ধ করা ও ওষুধের ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে রানীগঞ্জের নেতাজি মোড়ে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সংগঠনের বড় সংখ্যক ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মাসিস্ট উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সরকারের প্রতি কড়া বার্তা দেন।
⚠ নকল ওষুধে ছড়াচ্ছে বিপদ! সতর্ক থাকার আহ্বান

সংগঠনের সদস্য গোপাল আচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন যে শুধু রানীগঞ্জেই নয়, গোটা বাংলাজুড়ে নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা চলছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যকে চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন:
🗣 “একটি আসল ওষুধ যেমন মানুষের সুস্থতা ফেরাতে পারে, তেমনই একটি নকল ওষুধ মানুষের জীবন বিপন্ন করতে পারে। তাই ওষুধ কেনার সময় ক্যাশ মেমো অবশ্যই নিতে হবে এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে ওষুধের সত্যতা যাচাই করতে হবে।”
তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেন, কোনও সন্দেহজনক ওষুধ দোকান থেকে ওষুধ না কেনার জন্য সচেতন হতে হবে।

⚡ ‘৭০% ছাড়’ দেখলেই কেনার ভুল করবেন না!
গোপাল আচার্য্য আরও জানান যে কিছু ওষুধের দোকান বড় বড় বোর্ড ঝুলিয়ে ৭০% ছাড়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, যা নকল বা নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির ফাঁদ হতে পারে। তিনি বলেন:
🚨 “এই ধরনের লোভনীয় ছাড়ের ফাঁদে পা দেবেন না! কারণ কম দামে ওষুধ কিনতে গিয়ে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে বড় ঝুঁকি নিতে হতে পারে।”

🛑 “প্রতিটি ওষুধ কেনার সময় ক্যাশ মেমো নিন ও কিউআর কোড স্ক্যান করুন”
আরেক সংগঠনের সদস্য ও ওষুধ বিক্রেতা তিমির বরন মণ্ডল বলেন যে নকল ওষুধ সরাসরি মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন:
💊 “সবাই যেন অনুমোদিত ও নির্ভরযোগ্য দোকান থেকেই ওষুধ কেনেন এবং প্রতিটি ওষুধ কেনার সময় ক্যাশ মেমো ও কিউআর কোড স্ক্যান বাধ্যতামূলক করেন।”

📢 সরকারের কাছে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি!
ওষুধ ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ওষুধের ওপর থেকে জিএসটি বাতিল করার দাবিও জানান। তাদের মতে, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ওপর কর থাকা অনুচিত এবং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ব্যয়ভার বহন করতে বাধ্য করছে।