আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গ | রিপোর্ট: নিজস্ব প্রতিনিধি
আসানসোলের হেলথওয়ার্ল্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি গর্ভবতী মহিলা বিউটি কুমারী তাঁর স্বামী সুরজ কুমারের সঙ্গে আল্ট্রাসোনোগ্রাফির জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবার বদলে পেয়েছেন অপমান, গালাগালি, ঠেলাঠেলি ও শারীরিক নিগ্রহের শিকার। ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে আসানসোল নর্থ থানায়, কিন্তু এখনও অবধি কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
📍 কি ঘটেছিল সেই দিন?
- সোমবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে মঙ্গলবার চেকআপ হয়। বুধবার সকাল ৯টা থেকে ৯:৩০-এর মধ্যে ডাক পড়ার কথা ছিল।
- সকাল ৯:৩০ নাগাদ হাসপাতাল পৌঁছে ৩১০০ টাকা দিয়ে বিল কাটেন।
- এক ঘণ্টা কেটে গেলেও ডাক পড়েনি। অন্যান্য রোগীদের দেখা হচ্ছে, কিন্তু বিউটির নয়।
- দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে বিউটির শরীর খারাপ হতে থাকে, বমি শুরু হয়।
- স্বামী সুরজ টাকা ফেরত চাইলে, হাসপাতালের কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – “টাকা ফেরত নয়, এখানেই করতে হবে আল্ট্রাসাউন্ড।”
📹 মোবাইলে রেকর্ডিং শুরু করতেই আক্রমণ
সুরজ মোবাইলে ভিডিও করতে শুরু করলে, হাসপাতালের এক কর্মী মনোজিত কয়াল-এর নেতৃত্বে কিছু মানুষ এসে মোবাইল কেড়ে নেয়, মারধর করে, গালিগালাজ করে এবং গর্ভবতী স্ত্রীসহ ঠেলাঠেলি করে বের করে দেয়।
💬 সুরজ কুমারের কথায়:
“আমার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট, ডাক্তার বলেছেন প্রতি ঘন্টায় খেতে হবে। কেউ কিছু বলছে না, উপর থেকে মারধর করে বের করে দিল।”
🚔 পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
নর্থ থানায় অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, সুরজ এখন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করে ন্যায়ের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি চান, “যা আজ আমাদের সঙ্গে হয়েছে, কাল যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।”