দুর্গাপুর:
আজ সকালে দুর্গাপুর পৌরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা চাষী পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প ‘পাড়া সমাধান’। কিন্তু এই কর্মসূচি শুরুর আগেই গোটা এলাকায় দেখা যায় চাঞ্চল্যকর দৃশ্য—দেওয়ালে টাঙানো পোস্টার, যেখানে সরাসরি তিনজন তৃণমূল কর্মীর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়, তারা নাকি এলাকায় গাড়ি আটকে টাকা তোলে। পোস্টার ঘিরে এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তবে এই ঘটনায় পাড়া সমাধান কর্মসূচির উচ্ছ্বাসে কোনও ভাটা পড়েনি। সকাল থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তাদের সমস্যার ঝাঁপি খুলে ধরেন উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের সামনে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ, দুর্গাপুর পৌরনিগম প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখার্জি, সদস্য রাখি তিওয়ারি, ধর্মেন্দ্র যাদব, রামপ্রসাদ হালদার, ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মুখার্জি-সহ বহু কর্মী ও প্রশাসনিক কর্তারা।
বাসিন্দাদের দাবি
🔹 এলাকায় কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ
🔹 নিয়মিত বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা
🔹 DSP Alloy Steel Plant-এর নোটিশে বাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা বন্ধ
🔹 দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর ধরে বসবাসকারী পরিবারদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা
প্রশাসনিক বক্তব্য
তৃণমূল নেত্রী রাখি তিওয়ারি জানান, “রাস্তা যে জায়গায় করতে হবে তা DSP-এর জমি। DSP নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট না দিলে রাস্তা তৈরি করা সম্ভব নয়। আমরা ইতিমধ্যেই DSP নগর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু এখনও কোনও জবাব পাইনি।”
অন্যদিকে সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, “পাড়া সমাধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় প্রকল্প। এখানে মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কাজ আটকে থাকলে তহবিল তিনি দেবেন। প্রয়োজনে আমরা সাংসদ ফান্ড থেকেও সাহায্য করব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “DSP Alloy Steel Plant-এর বড় ট্রাক এই রাস্তায় চলার কারণেই রাস্তা নষ্ট হয়। কেন্দ্র সরকার আমাদের টাকা আটকে রেখেছে। সেটি দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করব।”
পোস্টার কাণ্ড ঘিরে জল্পনা চললেও এলাকার মানুষদের আশা, ‘পাড়া সমাধান’ তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটাবে।












