আসানসোল: শহরের নিকটবর্তী কুমারপুর মৌজায় পুকুর ভরাটের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই পুকুরটি স্থানীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জলস्रोत হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে যখন জল সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। এই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ব্লক ল্যান্ড রেভিনিউ অফিস (BLRO) ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
গ্রীষ্মকালে বাড়তে পারে জল সংকট
গ্রামবাসীদের দাবি, এই পুকুরের জল গ্রীষ্মকালে তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটায়। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে ভবিষ্যতে তাদের ভয়াবহ জল সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। গ্রামের একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যেই জল সরবরাহে সমস্যা রয়েছে, এবং এই পুকুর শুকিয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভকারীদের আবেদন
গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন যে অবিলম্বে এই পুকুরটিকে রক্ষা করতে হবে এবং যারা অবৈধভাবে এটি ভরাট করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে এক প্রতিবাদকারী বলেন,
“এই পুকুর আমাদের জীবনরেখা। গ্রীষ্মকালে যখন অন্যান্য জলস्रोत শুকিয়ে যায়, তখন আমরা এই পুকুরের জলেই নির্ভর করি। যদি এটি ভরাট হয়ে যায়, তাহলে জল পাওয়ার জন্য আমাদের হাহাকার করতে হবে। প্রশাসনকে অবিলম্বে এটি বন্ধ করতে হবে।”
গ্রামে বাড়ছে ক্ষোভ, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে প্রশাসন দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।
পুকুর সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
এই ঘটনা প্রশাসনের জল সংরক্ষণ নীতির ওপরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার শুধু কাগজে-কলমে বড় বড় দাবি করে, কিন্তু বাস্তবে সেগুলির কোনও বাস্তবায়ন হয় না। পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণের পরিকল্পনা শুধু নথিতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
এখন সকলের দৃষ্টি প্রশাসনের দিকে
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কুমারপুর মৌজার গ্রামবাসীরা কি তাদের জীবনদায়ী পুকুরটি ফিরে পাবে, নাকি প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে তাদের জল সংকটের মুখোমুখি হতে হবে?