আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ): আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হাতে বড় সাফল্য এসেছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ বারাচাক স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযানের বিস্তারিত:
পুলিশ একটি পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে বিশেষ দল গঠন করে। এই দলে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ইনস্পেক্টর রাহুল কুমার আচার্য, দক্ষিণ থানার ওসি শীতল নাগ, সাব-ইনস্পেক্টর সরাফুল মণ্ডল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর সামসুল জামাল, অনিমেষ এবং বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায়।
দলটি বারাচাক স্টেশন রোডে একটি নীল রঙের টোটোতে যাত্রীবাহী এক ব্যক্তিকে আটক করে। তল্লাশির সময় চারটি ব্যাগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১১ প্যাকেট গাঁজা ছিল। উদ্ধার হওয়া গাঁজার ওজন প্রায় ২৫ কেজি।
গাঁজা পাচারের চক্র:
পুলিশের মতে, এই গাঁজার চালান ওডিশার মুনিগুড়া থেকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে নিয়ে আসা হচ্ছিল। ধৃত ব্যক্তির নাম দুর্গেশ সিং, যিনি মোহিশিলা এলাকার বাসিন্দা।
গাঁজা পাচারের পদ্ধতি:
- কোথা থেকে আসছিল গাঁজা?
ওডিশার মুনিগুড়া থেকে গাঁজার চালান ধানবাদে পৌঁছানো হয়। - কিভাবে ধরা পড়ল?
ধৃত ব্যক্তি গাঁজার চালান নিয়ে লোকাল ট্রেনে বারাচাক স্টেশনে পৌঁছান। সেখান থেকে মোহিশিলা যাওয়ার জন্য একটি টোটো বুক করেন। কিন্তু পুলিশ আগে থেকেই ওত পেতে ছিল এবং মাঝপথেই তাকে গ্রেফতার করে। - গাঁজার চালান কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি আসানসোলের স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল।
পুলিশি তদন্ত ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:
গ্রেফতার হওয়া দুর্গেশ সিং-এর কাছ থেকে পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। এই আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্য ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চলছে। পুলিশ ধৃত ব্যক্তির সূত্র ধরে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলে এই চক্রের যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
পুলিশ জানায়, তাদের কৌশল এবং তৎপরতার ফলে বাজারে পৌঁছানোর আগেই এই বিশাল গাঁজার চালান আটকানো সম্ভব হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে, এই চক্রের অন্য সদস্যদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।