মাইথন, ঝাড়খণ্ড: বৃহস্পতিবার মাইথনের ছটঘাট এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যেখানে ৩০ বছর বয়সী যুবক পিন্টু চৌধুরী ড্যামে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে প্রাণ হারান। বিহারের আরঙ্গাবাদের বাসিন্দা পিন্টু তার পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে মাইথন ভ্রমণে এসেছিলেন।
ভ্রমণ থেকে মৃত্যু — এক মুহূর্তে পাল্টে গেল সব
পিন্টু ধানবাদের কুসুমবিহারে বসবাসকারী বন্ধু পৃথ্বীরাজ গোছরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথ্বীরাজ, সন্তোষ শর্মা, ভিকি কুমার, রোহিত শর্মা ও শ্রবণ কুমার—এই ছয়জন এক গাড়িতে মাইথনে ঘুরতে আসেন। আনন্দঘন মুহূর্তে সবাই ড্যামে স্নান করতে নামেন। কিন্তু হঠাৎ পিন্টু জলের গভীরে ডুবে যেতে থাকেন।
বন্ধুরা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। স্থানীয় নৌকা চালক ও ডুবুরি দল প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টার পর পিন্টুর নিথর দেহ উদ্ধার করেন। মাইথন পুলিশ দেহটি ডিভিসির বিপি নিয়োগী হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নেশাগ্রস্ত অবস্থাই কি এই দুর্ঘটনার কারণ?
সূত্র অনুযায়ী, ঘটনার সময় বন্ধুরা নেশার মধ্যে ছিলেন, যা এই দুঃখজনক মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশও এই দিকটি থেকে তদন্ত চালাচ্ছে।
ব্যবসায়ী থেকে নিথর দেহ—পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া
পিন্টু আরঙ্গাবাদে অটো পার্টসের ব্যবসা করতেন। বন্ধুর সঙ্গে একটু ফুর্তি করতে আসা এই যুবকের মৃত্যু তাঁর পরিবারে অপূরণীয় শোকের ছায়া ফেলেছে। বন্ধুরা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না যে কয়েক মুহূর্তের আনন্দ এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি নেবে।
সতর্ক বার্তা:
এই ঘটনাটি আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে সাবধানতা না থাকলে প্রাণহানি অনিবার্য।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে ও ড্যামে অনুমতি ছাড়া স্নান না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
