পাণ্ডবেশ্বর:
ভুয়ো লটারি চক্রের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল সিআইডি। শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বাসিন্দা কুখ্যাত লটারি মাফিয়া পল্টু সিং সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারী সূত্রের খবর, পল্টু সিং-ই ছিল এই ভুয়ো লটারি চক্রের মূল মাথা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর, লভদোহা, অন্ডাল, উখড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে ভুয়ো লটারির কারবার চালাচ্ছিল পল্টু। শুধু তাই নয়, পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম জেলার খরসোল ও দুবরাজপুর এলাকাতেও তার শক্ত ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয়, লভদোহা ও পাণ্ডেশ্বর এলাকায় দিনের আলোতেই প্রকাশ্যে চলত এই জাল লটারির ব্যবসা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রায় এক বছর আগেও পল্টু সিংকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিডি বিভাগ গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে আবারও দ্বিগুণ দাপটে একই অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তার অধীনে একাধিক এজেন্ট বিভিন্ন এলাকায় ভুয়ো লটারির টিকিট সরবরাহ করত।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দিন দিন যেভাবে ভুয়ো লটারির অবৈধ ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠছে, তাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠছে। পাণ্ডেশ্বর থানার এলাকার মধ্যেই প্রকাশ্যে ভুয়ো লটারি বিক্রি হলেও দীর্ঘদিন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মাঝে মধ্যে কয়েকদিন অভিযান চলত, তারপর আবার পুরোদমে শুরু হয়ে যেত এই বেআইনি ব্যবসা।
এবার সিআইডির অভিযানে দুই অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও এখনও বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে—এই চক্রের নেপথ্যে আর কারা রয়েছে? স্থানীয় স্তরে কারা এই বেআইনি ব্যবসাকে আশ্রয় ও মদত দিচ্ছে? সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের জেরা করে আরও বেশ কিছু নাম উঠে আসতে পারে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও অনেককে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভুয়ো লটারির সঙ্গে যুক্তদের মধ্যে এখন আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।












