নয়াদিল্লি/পহেলগাম: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার আগে বিপদের ইঙ্গিত মিলেছিল, কিন্তু সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়। এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের পর্যটক একতা তিওয়ারি, যিনি হামলার কয়েকদিন আগে তাঁর পরিবারসহ পহেলগামে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বয়ান এখন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে পরিণত হয়েছে।
🔍 একতা তিওয়ারি কী দেখেছেন?
- একতা ও তাঁর ভাইদের মতে, পহেলগামে “খচ্চরওয়ালার” ছদ্মবেশে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিল।
- তারা পর্যটকদের ধর্ম ও জাতি সম্পর্কে বারবার প্রশ্ন করছিল, যেমন “আপনার ধর্ম কী?”, “কোথা থেকে এসেছেন?”
- এক সন্দেহভাজন মোবাইলে “অস্ত্র”, “পৌঁছে গেছি”, “সময় ঘনিয়ে এসেছে” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করছিল।
- একতার পরিবার তাদের প্রশ্ন করলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এবং বারবার নজরবন্দি করে রাখা হয়।
🕵️♂️ এখন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বড় সূত্র:
- একতার এই অভিযোগ পাওয়ার পর IB, RAW ও NIA বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নেমেছে।
- পরিবার কিছু আলোচনার রেকর্ডিং করেছে, যা ভবিষ্যতে তদন্তে বড় ক্লু হতে পারে।
- জানা গেছে, ওই “খচ্চরওয়ালারা” যেসব এলাকায় হামলা হয়, সেখানে আগেই ঘুরে গিয়েছিল।
⚠️ উঠছে গুরুতর প্রশ্ন:
- হামলাটি কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল স্থানীয় সহায়তায়?
- সন্দেহভাজনদের গতিবিধি কেন অবহেলা করা হলো?
- নিরাপত্তা সংস্থাগুলি কি সময়মতো কোনো সতর্কতা পায়নি?
💬 একতা তিওয়ারি কী বললেন?
“আমরা প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিলাম। তাদের কথাবার্তা ছিল অদ্ভুত, একজন খচ্চরওয়ালা ইংরেজি ব্যবহার করছিল। বারবার ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করছিল – আমি কোরআন পড়েছি কি না, পড়া উচিত কি না, আমার সঙ্গে আর কে আছে, তাদের ধর্ম কী। এসব শুনে আমি কিছু বলিনি, বরং সবাইকে মুসলিম বলে পরিচয় দিই। আর যেহেতু তারা আমার ‘ওম’ দেখছিল, আমি বলি আমি ভোলেবাবার ভক্ত।”
