বিশেষ সংবাদদাতা : কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এই ঘটনার সাথে সন্দীপ ঘোষ, প্রাক্তন প্রিন্সিপালের নাম উঠে আসছে প্রতিদিন নতুন নতুন রহস্যের মাধ্যমে। এর মধ্যে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ফরেনসিক ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধানের ঘরে কাজ করছিলাম। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলাম আমিই।”
মমতা সরকার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি
প্রাক্তন ফরেনসিক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি কি অঙ্গ বিক্রির সাথে জড়িত ছিলেন? উত্তরে তিনি বলেন, “না, তারা অঙ্গ বিক্রি করেননি। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য আসা মৃতদেহ নিয়ে তিনি কর্মশালা করতেন। একবার তিনি ENT নিয়ে কর্মশালা করেছিলেন, যা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এই সবের পরও রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।”
মৃতদেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে বড় রহস্য প্রকাশ
প্রতিবেদক তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে মৃতদেহ নিয়ে কর্মশালা করা যায় কি না? উত্তরে তিনি বলেন, “না, ময়নাতদন্তের জন্য আনা মৃতদেহ নিয়ে এমন কাজ করা যায় না। ফরেনসিক মেডিসিনে, যা মেডিকো-লিগ্যাল কেস, সেগুলো নিয়ে কর্মশালা করা সম্ভব নয়। যদি আপনি মৃতদেহ নিয়ে কর্মশালা করেন, তাহলে সমস্ত চিহ্ন ও ক্ষত হারিয়ে যাবে।”
‘সন্দীপ ঘোষ নিজেকে বস এবং মাফিয়া মনে করতেন’
প্রাক্তন ফরেনসিক ডাক্তার জানান, সন্দীপ ঘোষ কোন অনুমতি না নিয়ে এসব কাজ করতেন এবং নিজেকে বস ও মাফিয়া মনে করতেন। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তার পিছনে রয়েছে এবং শাসক দলের কিছু লোক তাকে সমর্থন করছে।
এই অপারেশনের পর আরও অনেক রহস্য উন্মোচিত হতে পারে যা দেশবাসীকে চমকে দেবে।