🔥 ৬০০ বছরের পুরনো কালীপুজো: নিয়ামতপুরে আজও শোনা যায় দেবীর নূপুরের শব্দ!

unitel
single balaji

আসানসোল (নিয়ামতপুর):
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত নিয়ামতপুর গ্রামের আদি কালীপুজো আজও রহস্যে ঘেরা এক অলৌকিক ঐতিহ্য। বিশ্বাস করা হয়, এই পুজোর ইতিহাস প্রায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এখানকার অন্যতম বিশেষত্ব হল— মা কালী প্রতিষ্ঠিত আছেন ‘পঞ্চমুণ্ডির বেদি’র উপর, যা ভারতের অতি বিরল কালীমন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম।

🔥 মা কালীকে কালীপুজোর রাতে বাঁধা হয় শৃঙ্খলে!

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, কালীপুজোর রাতে আজও শোনা যায় দেবীর নূপুরের শব্দ। লোককথা অনুযায়ী, পুজোর রাতে মা কালীকে লোহার শৃঙ্খলে বেঁধে রাখা হয়, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে ওই রাতে দেবীর শক্তি এতটাই প্রখর হয় যে, মন্দির কেঁপে ওঠে তাঁর উগ্র রূপে।

🕉️ শেরশাহ সূরির আমল থেকে শুরু এই পুজো

জনশ্রুতি অনুযায়ী, এই আদি কালীপুজো শেরশাহ সূরির আমল (১৬শ শতক) থেকে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সেই সময়েই নাকি দেবীর প্রতিষ্ঠা হয় পঞ্চমুণ্ডির বেদির উপর— অর্থাৎ, পাঁচটি মানুষের খুলি দিয়ে গঠিত এক তান্ত্রিক বেদিতে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, সেই সময় এই অঞ্চল ছিল তন্ত্রসাধনার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র

🛕 নিয়ামতপুর গ্রামের কালীবাড়ি — এক অলৌকিক শক্তিক্ষেত্র

এই মন্দির বর্তমানে ‘নিয়ামতপুর গ্রাম কালীবাড়ি মন্দির’ নামে পরিচিত। প্রতিবছর কালীপুজোয় হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন এই পবিত্র স্থানে। পুজোর রাতে হয় ভোগ, আরতি, ধুনুচি নাচ, ও সারারাত ধরে চলে তন্ত্রমন্ত্র ও স্তোত্রপাঠ। অনেকে বলেন, মাঝরাতে কখনও কখনও চেইনের ঝনঝনানি ও নূপুরের আওয়াজ মন্দিরের ভিতর থেকে ভেসে আসে

📜 পঞ্চমুণ্ডির বেদির রহস্য

তান্ত্রিক গ্রন্থে বলা হয়েছে, পঞ্চমুণ্ডির বেদি হল শক্তিসাধনার সর্বোচ্চ প্রতীক, যেখানে মানব আত্মা ও দেবশক্তির মিলন ঘটে। এই মন্দিরের বেদি এখনও অক্ষত অবস্থায় আছে, যা দেখে গবেষকরাও বিস্মিত।

🙏 ৬০০ বছরের বিশ্বাস, আজও অটুট

৬০০ বছরের পুরনো এই কালীপুজো কেবলমাত্র এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়— এটি বিশ্বাস, শক্তি ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত ইতিহাস। নিয়ামতপুরবাসী আজও একই ভক্তিভরে মা কালীকে আহ্বান জানায়, যেমন তাঁদের পূর্বপুরুষরা করতেন শতাব্দী আগে।

ghanty

Leave a comment