আসানসোল: ‘কলকাতায় একজন প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা আমাদের 12 বছর আগে রাজধানী দিল্লিতে নির্ভয়ার ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। নির্ভয়ার সাথে যে নৃশংসতা ঘটেছিল তা মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিটি ব্যক্তির সংবেদনশীলতাকে নাড়া দিয়েছিল। ৮-৯ আগস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা ফের আলোড়ন তুলেছে দেশকে।
সবাই প্রশ্ন করছে, দেশ অনেক ক্ষেত্রেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন সাফল্য আসছে না? ‘ এটা বলেন মিডিয়া পার্সোনালিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল একুইটাবেল হিউম্যান রাইটস সোশ্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিনহা। শহরের জিটি রোডে সংগঠনটির মহিলা শাখার অফিস উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সঞ্জয় সিনহা। তিনি আরও বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যখন নির্ভয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল,ওই বছর 2012 সালে সারাদেশে 24,915টি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর এক দশক পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণের ঘটনা কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে।
এই 10 বছরে, এমন একটি বছরও আসেনি যখন ধর্ষণের পরিসংখ্যান 2012 সালের কম ছিল। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, নির্ভয়ার ঘটনার পর নারী সুরক্ষা আইন কড়াকড়ি করেও কেন বর্বরতার ঘটনা কমছে না?’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিনহা বলেন, ‘নারী শোষণ, হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন আরও কঠোর করতে হবে।অপরাধীদের যে কোনো অবস্থাতেই কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
শ্রী সিনহা ফিতা কেটে নতুন অফিসের উদ্বোধন করেন এর আগে একটি স্বাগত অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রধান অতিথি সঞ্জয় সিনহাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মহিলা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে রাজ্য, জেলা ও শহর স্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন – আমজাদ আনসারি, অনিতা সিং, সঞ্জয় দাস, ডাঃ সিএন প্রসাদ, জাভেদ ইকবাল, হরে রাম প্রসাদ, অমিত সিং, অঞ্জন দে, ওয়াসিম খান, কৌশিক রায় চৌধুরী প্রমুখ।