কুলটি:
চলতি বছরের ২৯ আগস্ট আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি এলাকা কার্যত কেঁপে উঠেছিল। বাড়ির সামনে, ভর সন্ধ্যায় গুলি করে খুন করা হয় আসানসোল পৌর নিগমের অস্থায়ী কর্মী জাভেদ বারিক-কে। ঘটনাস্থল নিয়ামতপুর ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা নিহত জাভেদ বারিকের জামাই আসিফ খান-কে আজ আসানসোল জেলা আদালত থেকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টানা অভিযানের পর গ্রেপ্তার ‘মাস্টারমাইন্ড’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই মোঃ আসিফ খানের খোঁজে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ একাধিক জায়গায় লাগাতার অভিযান চালায়। অবশেষে গতকাল আসানসোল শহর এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় জাভেদ বারিক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তথা ‘মাস্টারমাইন্ড’ আসিফ খানকে।
এখনও পলাতক এক অভিযুক্ত
যদিও পুলিশি তৎপরতায় একের পর এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও, এই ঘটনায় আসিফ খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাভেদ কুরেশী এখনও পলাতক বলে জানা গেছে। তার খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তদন্তকারীরা।
পারিবারিক সম্পর্কেই রক্তক্ষয়
এই খুনের ঘটনায় সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দিক হল, নিহত জাভেদ বারিকের সঙ্গে অভিযুক্ত আসিফ খানের পারিবারিক সম্পর্ক। পুলিশ সূত্রে অনুমান, পারিবারিক বিবাদ ও পুরনো শত্রুতার জেরেই এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার নেপথ্যের আসল কারণ ও পলাতক অভিযুক্তদের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।
এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।











