বুদবুদ: রবিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার অন্তর্গত মারো গ্রামে উদ্ধার হয় এক রক্তাক্ত মহিলার দেহ। বছর ৩৬-এর জ্যোৎস্না বাগদীর এভাবে মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ—এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত খুন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জ্যোৎস্না বাগদী দুই সন্তানকে নিয়ে মারো গ্রামে বসবাস করতেন। প্রায় চার বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। রবিবার তিনি বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন এবং সন্ধেবেলা ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাত পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অবশেষে গ্রামের প্রবেশমুখে একটি নির্জন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ।
এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ এই নির্জন রাস্তাই জাতীয় সড়ক ১৯ থেকে গ্রামে আসার একমাত্র পথ। বহু বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা নির্ভয়ে যাতায়াত করলেও হঠাৎ এমন ভয়াবহ ঘটনা তাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রেমঘটিত সম্পর্কের জেরে খুন, নাকি জমিজমা বা অন্য কোনো বিবাদের কারণে এই ঘটনা—তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
পরিবারের দাবি, “জ্যোৎস্নাকে খুন করা হয়েছে। খুনিদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।” অন্যদিকে, গ্রামবাসীরাও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সরব।
বুদবুদ থানার আইসি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট নয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই সত্য সামনে আসবে।












