দুর্গাপুর-আসানসোল খনি অঞ্চলে একের পর এক রহস্যমৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুরের গোপালমাঠে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার শ্রীকৃষ্ণপুরের অদূরে এক কালীমন্দিরের কুয়ো থেকে মিলল খনি অঞ্চলের এক গৃহবধূর পঁচা-গলা দেহ।
রবিবার সকালে স্থানীয় গো-পালকেরা দুর্গন্ধ টের পেয়ে ফরিদপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে কুয়ো থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে। দেহের পাশেই পাওয়া যায় একটি ব্যাগ ও কিছু জামাকাপড়। পরে রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা শেখ গিয়াস উদ্দিন দেহটি শনাক্ত করেন।
গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বিবি চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি জানান, সেদিন সকালে বাড়ি ফিরে তিনি মেয়ের কাছে স্ত্রীর খোঁজ জানতে চান। মেয়ে জানায়, তার নানি এসেছিলেন, মা তার সঙ্গেই গেছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় নানি কোনওভাবেই আলেয়া বিবিকে নিয়ে যাননি। এর পরেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয় হল, আলেয়া বিবি বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন আলমারিতে রাখা ১৮ হাজার টাকা ও সমস্ত গহনা। প্রশ্ন উঠছে—এত টাকা ও সোনা নিয়ে তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন?
শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, তাঁর স্ত্রী অতীতে কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে তিনি সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করতে চাননি। তবুও পুলিশের সন্দেহের তীর ওই ব্যক্তির দিকেই ঘুরছে। এখনো স্পষ্ট নয় এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন।
🔎 এলাকায় তীব্র কৌতূহল ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বারবার নারী নির্যাতন ও রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খনি অঞ্চলে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। ফরিদপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।