নয়াদিল্লি :
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাংলাভাষী অভিবাসীদের টার্গেট করা হচ্ছে’—এই দাবিকে খণ্ডন করলেন বিজেপি নেতা ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সবই মিথ্যে। আমি বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছিলাম, যেখানে বেশিরভাগ কর্মীই বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসী ছিলেন। কিন্তু কেউ বাংলাদেশি ছিল না। আর যদি কেউ বাংলাদেশি হয়, তাহলেই তো তাকে চিহ্নিত করা যাবে!”
তিনি আরও বলেন, “বাংলা ভাষার উপর মমতার একচেটিয়া অধিকার নেই। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।”
মিঠুন সরাসরি অভিযোগ করেন—“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চাইছেন এবং ভয়ভীতির রাজনীতি করছেন।”
🔥 ভোটার তালিকা নিয়ে ক্ষোভ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ডাককে ‘অকার্যকর নাটক’ বলে উল্লেখ করে মিঠুন বলেন,
“এই ঘেরাও করে কী হবে? এর কোনও মানে নেই। বরং জাল ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই সঠিক পথ। নির্বাচন কমিশনের উচিত সঠিকভাবে কাজ করা।”
📊 রাজনীতির উত্তাপে উত্তাল বাংলা
বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন রাজ্যে ভোটার তালিকা, অভিবাসন, ও বাংলা পরিচয়ের প্রশ্নে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে, বাংলা ভাষাভাষী নাগরিকদের অন্য রাজ্যে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে।
কিন্তু মিঠুনের বক্তব্য তৃণমূলের সেই দাবিকে শুধু খণ্ডনই করেনি, বরং প্রশ্ন তুলেছে মুখ্যমন্ত্রীর কৌশল ও উদ্দেশ্য নিয়েও।
📣 মিঠুনের মূল বার্তা:
- “বাংলা ভাষা মমতার একার নয়।”
- “বাংলাদেশি আর বাঙালির তফাৎ বোঝা উচিত।”
- “ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবেন না।”
- “নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে দিন, ঘেরাও করে কিছু হবে না।”
🔖 জনমত জরিপ (Poll):
মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যের প্রতি আপনার মতামত কী?
🔘 আমি তার সঙ্গে একমত
🔘 আমি তার সঙ্গে একমত নই