অণ্ডাল, বুধবার:
অণ্ডাল থানা এলাকার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ১৯ নম্বর পিটে বুধবার সকালে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খনির গভীরে কাজ করা এক ঠিকাদারি শ্রমিক হঠাৎ প্রবল জলের স্রোতে আটকে প্রাণ হারান। মৃত শ্রমিকের নাম বিবেক মাঞ্জি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় মোট নয়জন শ্রমিক খনির নিচে কাজ করছিলেন। মেশিনে ড্রিলিং চলাকালীন হঠাৎ করেই শক্তিশালী জলের ধাক্কা খনির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এই সময় বিবেক মাঞ্জি তাতে আটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি আটজন শ্রমিককে দ্রুত টেনে তোলা সম্ভব হয়।
ঘটনার খবর ছড়াতেই এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক ও তীব্র ক্ষোভ। স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন, ইসিএল (ECL) কর্তৃপক্ষ বারবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপেক্ষা করছে। তাঁদের বক্তব্য— যদি আগাম সতর্কতা ও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত, তবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
🔻 শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ—
- খনিতে কাজ শুরুর আগে নিরাপত্তা প্রোটোকল মানা হয়নি।
- শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারবার কাজ চালানো হচ্ছে।
- ইসিএল ব্যবস্থাপনার গাফিলতিতেই শ্রমিকদের প্রাণ যাচ্ছে।
মৃত বিবেক মাঞ্জির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই গ্রামজুড়ে শুরু হয় কান্না আর হাহাকার। পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয় মানুষ ও শ্রমিক সংগঠন প্রশাসনের কাছে দাবি তুলেছেন— মৃতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং একজন নির্ভরশীলকে চাকরি দিতে হবে।
এদিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনায় ফের একবার ইসিএলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা সামনে এল। শ্রমিক মহলের প্রশ্ন— “আর কত প্রাণ গেলে তবে দায়িত্ব নেবে কর্তৃপক্ষ?”