কলকাতা:
২৫ জুনকে “সংবিধান হত্যা দিবস” (Samvidhaan Hatya Diwas) হিসেবে পালন করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি এই সিদ্ধান্তকে “গণতন্ত্রের উপহাস” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং একে বিজেপির দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেছেন।

মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য, “যারা সংবিধানকে মান্যতা দেয় না, তারাই এখন সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার কথা বলছে। এটা একটা পরিহাস ছাড়া কিছু নয়।”

তিনি আরও বলেন, “বিজেপি প্রতিনিয়ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আক্রমণ করছে। আজ তারা যে সংবিধানকে রক্ষা করার দাবি করছে, সেটাই তারা বারবার দুর্বল করে তুলছে। নির্বাচনী কমিশন থেকে শুরু করে মিডিয়া – সব জায়গায় তাদের হস্তক্ষেপ স্পষ্ট।”

মহারাষ্ট্র-বিহার সরকার পতনের ইঙ্গিত:
মমতা ব্যানার্জী সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে প্রশ্ন তোলেন – “মহারাষ্ট্র ও বিহারে নির্বাচিত সরকারগুলোকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল কি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা? তাহলে গণতন্ত্র কোথায় রইল?”

‘৮ নভেম্বর – অর্থনীতির ধ্বংস দিবস’ ঘোষণা করাও উচিত:
নোটবন্দির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেদিন দেশে নোটবন্দি ঘোষণা হয়েছিল, সেই ৮ নভেম্বর দিনটিকে ‘অর্থনীতি ধ্বংস দিবস’ (Economy Destruction Day) হিসেবে পালন করা উচিত। কারণ এর ফলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।”

‘কে দেশ চালাচ্ছে – মোদী না অমিত শাহ?’
মমতা ব্যানার্জীর বিস্ফোরক প্রশ্ন, “এই দেশের প্রধানমন্ত্রী কে? নরেন্দ্র মোদী না অমিত শাহ? কারণ এখন মনে হচ্ছে অমিত শাহ-ই দেশ চালাচ্ছেন।”

তৃণমূল সরকার সংবিধান হত্যা দিবস পালন করবে না:
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমরা এই ধরনের দিবস পালন করবো না। বরং প্রতিদিনই সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।”

ভোটের আগে কেন্দ্র-বিরোধের নয়া মোড়:
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত আরও তীব্র হবে। সংবিধান হত্যা দিবস এই সংঘাতের নতুন আগুন ছড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।