শিয়ালদহ আদালত আরজি কর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ-হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, “আমরা প্রথম দিন থেকেই মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে এসেছি। সিবিআই তদন্তে চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এমন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।”
মমতার অভিযোগ: সিবিআইয়ের তদন্তে ফাঁক
মুর্শিদাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, “এই মামলা আমাদের (কলকাতা পুলিশ) কাছ থেকে নিয়ে সিবিআই তদন্তে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এমন একটি ঘৃণ্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজন।”
আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা ও এর প্রভাব
গত বছর ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হলে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই নৃশংস ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিশাল আন্দোলন শুরু হয়, বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে। এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় “অপরাজিতা নারী ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ক্রিমিনাল ল’স অ্যান্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪” পাস করা হয়, যেখানে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়। বর্তমানে এই বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘটনার পরের প্রতিবাদ ও রায়
এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস শহরজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও ধর্নার আয়োজন করে। সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার দুই দিন পর আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। মমতা ব্যানার্জি আদালতের এই রায়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং কঠোর আইন প্রণয়নের উপর জোর দিয়েছেন।