মহার্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর ২০০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আসানসোলে আর্য সমাজের উদ্যোগে এক বিশাল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী উচ্ছ্বাসভরে অংশগ্রহণ করেন। এই শোভাযাত্রাটি আর্য সমাজের তিনটি স্কুলের যৌথ প্রচেষ্টায় আয়োজিত হয়, যার মধ্যে মুর্গাসোল এলাকার আর্য কন্যা স্কুল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

শোভাযাত্রার পথ এবং অভ্যর্থনার বর্ণনা
এই শোভাযাত্রা আর্য কন্যা স্কুল থেকে শুরু হয়ে জিটি রোড, আসানসোল হাটন রোড হয়ে রামধনী মোড়ে পৌঁছায় এবং শেষ হয় দয়ানন্দ স্কুলে। শোভাযাত্রার পুরো পথে আর্য সমাজের অনুসারীরা বিভিন্ন স্থানে ফুল ছিটিয়ে এবং উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানান।

তিন দিনের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা
মহার্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্মজয়ন্তীকে আরও বিশেষভাবে উদযাপন করতে আর্য সমাজ তিন দিনের জন্য একটি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই সময়ে ধর্মীয় আলোচনা, ভজন-কীর্তন, যজ্ঞ এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি
এই অনুষ্ঠানে আর্য সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন, যারা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা, তাঁর শিক্ষাদান এবং সমাজ সংস্কারে তাঁর অবদানের উপর আলোকপাত করবেন। শিক্ষার প্রসার, সামাজিক সচেতনতা এবং বেদ প্রচারের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মহার্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী: সমাজ সংস্কারের পথপ্রদর্শক
মহার্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি বেদের বিশুদ্ধ শিক্ষার উপর জোর দেন এবং সতী প্রথা, জাতিভেদ, শিশুবিবাহের মতো কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তাঁর আদর্শ এখনও সমাজকে অনুপ্রাণিত করে।

উৎসাহ ও ভক্তিমূলক পরিবেশ
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং আর্য সমাজের অনুসারীরা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শন করেন। ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে সকলেই গর্বিত।

অনন্য তথ্য যোগ করা হয়েছে
আর্য সমাজের মতে, এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য হল সমাজে বেদ এবং আর্য সংস্কৃতির প্রচার। এছাড়াও, শোভাযাত্রায় বিশেষ যন্ত্র সঙ্গীত, শ্লোক পাঠ এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল বিশেষ আকর্ষণ।