আসানসোল: বসন্ত পঞ্চমীর পবিত্র দিনে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পুজোর আগে শিলপাঞ্চলের বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কৃষ্ণ প্রসাদ মা ঘাঘর বুড়ি মন্দিরে পূজা দেওয়ার আগে এক ঐতিহাসিক ঘোষণা করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে সারা বিশ্বে এক অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকুম্ভ স্নান চলবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে বিশেষ বাস এবং যজ্ঞের আয়োজন

কৃষ্ণ প্রসাদ ঘোষণা করেন যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’টি করে বাস বের হবে। প্রতিটি বাসে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এই যাত্রা শুরু হবে মা ঘাঘর বুড়ি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে। যাত্রার শুভ সূচনার দিনে মন্দির প্রাঙ্গণে ২৫১ কুণ্ডলীয় যজ্ঞের আয়োজন করা হবে। শিলপাঞ্চলের ৫১ জন পুরোহিত এই মহাযজ্ঞ পরিচালনা করবেন।
মহাকুম্ভ স্নানের জন্য ট্রেনের দাবি

কৃষ্ণ প্রসাদ জানান যে আসানসোল মণ্ডল রেলওয়ের ডিআরএম, পূর্ব রেলওয়ের জিএম, রেল চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রেল মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আসানসোল থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেনের দাবি জানানো হবে। ট্রেনের ব্যবস্থা না হলে রাস্তা পথে হাজারো মানুষকে মহাকুম্ভের অমৃত স্নানের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রস্তুতির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সভা

৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩:৩০টায় কল্লা বাইপাসে তাঁর নিজস্ব জমিতে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হবে। সভায় মহাকুম্ভ যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং তারপরে সাংবাদিকদেরও উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখা হবে। বারাকর থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত বহু মানুষকে এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শ্রদ্ধালুদের মধ্যে উৎসাহ
গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমে স্নানের জন্য ইতিমধ্যেই হাজারো মানুষ যোগাযোগ করছেন। কৃষ্ণ প্রসাদ জানান যে যারা ইতিমধ্যে স্নান করেছেন, তারা এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন। তিনি জেলার মানুষকে এই মহাপুণ্য কাজের অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন