আসানসোল: শিল্পাঞ্চলের কুমারপুর এলাকায় পুকুর দখল ও ভরাটের অভিযোগে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার, গোবর্ধন মণ্ডলের নেতৃত্বে শতাধিক গ্রামবাসী মিছিল করে জেলা শাসকের (ডিএম) দফতরে গিয়ে পুকুর রক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দাগ নম্বর ১৯১-এ অবস্থিত ১.৫ একর আয়তনের এই পুকুরটি, যা আগে গ্রামের কয়েকটি পরিবারের অধীনে ছিল, এখন দখল ও ভরাটের চেষ্টা চলছে।
পুকুর ভরাটের অভিযোগ
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কিছু বছর আগে কানাইলাল নামে এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গীরা পুকুরের ২৯% অংশ কিনে নেন। এরপর ধীরে ধীরে পুকুরটি দেওয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এবং রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা শুরু হয়। গ্রামবাসীরা একাধিকবার চেষ্টা করেও এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে পারেননি। বর্তমানে আবার পুকুর ভরাটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পুকুরের গুরুত্ব ও প্রশাসনের প্রতি আবেদন
গোবর্ধন মণ্ডল বলেন, “এই পুকুর এবং নুনিয়া নদীর জল গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পানীয় জলের অভাবের মধ্যে এই পুকুর আমাদের গ্রামবাসীদের জন্য একমাত্র ভরসা।”
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পুকুরটি শুধু জলসংকট মেটায় না, এটি গ্রামের ঐতিহ্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন, এই পুকুর ভরাট বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ও গ্রামবাসীদের আন্দোলন
ডিএম দফতরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে এই আন্দোলন আরও বড় আকার নেবে।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আলোড়ন
পুকুর দখল ও ভরাটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কুমারপুর এবং আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীদের আন্দোলন ভূমি মাফিয়াদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।